হেক্টর প্রতি ফলন ৪৫ মেট্রিক টন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: দেশের অনেক এলাকায় টমেটোর বাম্পার ফলনে কৃষকরা বিপাকে পড়লেও চট্টগ্রামে তার ব্যতিক্রম। এখানে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। এ তথ্য জানালেন চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. একরাম উদ্দিন।
মওসুমের শুরুতে প্রতি মণ টমেটো পাইকারীতে বিক্রি হয়েছে ৮শ’ টাকা। এখন মৌসুমের শেষে প্রতি মণ ৪০০ টাকা।
শীতকালীন সবজি হিসেবে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও টমেটোর আবাদ হয়। গেল বছরগুলোতে বেশি উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়ায় চলতি মওসুমে আরও বেশি জমিতে টমেটো আবাদ করেন কৃষকরা।
শুরুতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হতো পাইকারিতে। সেই টমেটো এখন বাজারে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এতে করে উৎপাদনের খরচের টাকা উঠে ভালো লাভ পাচ্ছে চাষিরা।
কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। সবাই একসঙ্গে তুলছেন, বিক্রি করছেন। সে কারণে হাট-বাজারে সামান্য দর পতন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. একরাম উদ্দিন বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সব চেয়ে বেশি টমেটোর চাষ হয়েছে ফৌজদারহাট ও সীতাকুন্ডে। এ বছর ১১শ’ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। সামনের বছর টমেটোর চাষ আরো বাড়বে। হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৪৫ মেট্রিক টন। শুরুতে ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যদি হিমাগার করা যায়, তবে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হবেন। জেলায় এ বছর ৫৪ হাজার মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। চলতি মওসুমে এ পর্যন্ত টমেটো চাষ করে অনেক কৃষক আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। চাষিরা যাতে উপযুক্ত দাম পান, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে চলতি বছর চট্টগ্রাম থেকে যে পরিমাণে রপ্তানি হয়েছে, আগামী বছরে তারচেয়ে বেশি রপ্তানি হবে।