Home অন্যান্য ডুবে যাওয়া টাইটানিক রহস্য

ডুবে যাওয়া টাইটানিক রহস্য

টাইটানিক

পৃথিবীতে কিছু জিনিস কেমন আছে যা চিরকাল অধরাই থেকে যায়। টাইটানিকের (RMS Titanic) নাম শোনেনি এমন মানুষ এই বিশ্বে নেই। এই বিলাসবহুল জাহাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩ হাজার ফুটেরও বেশি গভীরে। এই ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ঘটেছে বিপত্তি। সমুদ্রের গভীরে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গেছে সাবমেরিনটি। মারা গেছে পাঁচজন পর্যটক। মার্কিন বেসরকারি সংস্থার সাবমেরিন ‘টাইটান’ সমুদ্রের গভীরে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই কারণে বহু বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের নাম ফের খবরে শিরোনামে। টাইটানিকের নির্মাতারা বলেছিল এই জাহাজ কোনদিনও ডুবতে পারে না কিন্তু প্রথম যাত্রাই সফল হতে পারেনি টাইটানিকের।

বিশালাকার বিলাসবহুল জলযান RMS Titanic নিয়ে মানুষের মধ্যে চিরকালই উন্মাদনা ছিল বেশি। বহু সিনেমা, গল্প, গান এবং উপন্যাস তৈরি হয়েছে এই টাইটানিকের (RMS Titanic) উপর ভিত্তি করে। একটি ডুবন্ত জাহাজ নিয়ে কেন মানুষের মধ্যে এত উন্মাদনা ও কৌতূহল? টাইটানিকের সম্পদই হলো এর প্রধান কারণ এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। টাইটানিক নির্মাণ করেছিলেন White Start Line নামক একটি সংস্থা। যার কর্তা-ব্যক্তিরা নিজেদের বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন এই জাহাজে গরিবের কোন জায়গা নেই।

কথাটি কিন্তু শুধুমাত্র মুখের কথা ছিল না। সত্যি টাইটানিক (RMS Titanic) সেজে উঠেছিল পৃথিবীর সবথেকে দামি জিনিসপত্রে। টাইটানিকের আসবাবপত্র ছিল দারুণ কারুকার্য করা। এমনকি জাহাজটির ভেতরে ছিল রেস্তোরাঁ, যেখানে নতুন ধরনের বিভিন্ন খাবার পাওয়া যেত। এছাড়াও জাহাজের রাখা ছিল প্রচুর নামিদামি মদ। কত ছিল এই বিলাসবহুল জাহাজের ভাড়া? টাইটানিকের প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের ভাড়া দিতে হয়েছিল ৮৭০ পাউন্ড। প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের নৈশাহারে থাকতো স্যামন, স্টেক এবং প্যাটে ডি ফোয়ে গ্রাসের মতো মুখরোচক খাবার। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন শেফরা টাইটানিক এর মত খাবার তৈরি করে মানুষের জন্য।

টাইটানিক (RMS Titanic) তৈরির কাজ প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯০৮-র সেপ্টেম্বরে। ১৯১২ সালের এপ্রিলে ব্রিটেনের সাউথহ্যাম্পটন থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল এই বিশালাকার বিলাসবহুল জাহাজটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম যাত্রায় হয়েছিল এর শেষ যাত্রা। উত্তর আটলান্টিকে বিশাল একটি হিমশৈলের সাথে ধাক্কা লেগে সলিল সমাধি ঘটে টাইটানিকের। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে যাতে প্রাণ হারান যাত্রী ও ক্রু মেম্বার মিলিয়ে দেড় হাজার জন।

ডুবন্ত এই জাহাজের বিলাসিতার গল্প সব সময় ছিল খবরের শিরোনামে। টাইটানিক ধ্বংস হবার বহু বছর পেরিয়ে গেলেও সমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা সেই বিশেষ সম্পদ দেখার কৌতুহল ছিল বহু অভিযাত্রীর। সাবমেরিন টাইটানের যাত্রীরা তাই চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের ইচ্ছা পূরণ হতে পারেনি। টাইটানিক দেখার ইচ্ছা নিয়ে আটলান্টিকে ডুব দিয়েছিল ওই সাবমেরিন। কিন্তু চার দিন পেরিয়ে গেলে ডুবোজাহাজটির শুধুমাত্র ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্ট গার্ড। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন জলের চাপে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।