Home Second Lead টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার চেয়েছে বিসিএমইএ

টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার চেয়েছে বিসিএমইএ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: দেশীয় টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ আগামী ৫ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপার্টার্স এসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।

আমদানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং জনিত শুল্ক ফাঁকি রোধে ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্য হালনাগাদেরও সুপারিশ করেছে বিসিএমইএ।

সোমবার এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এা সংগঠনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এই সুপারিশ করে বলেন, দেশীয় সিরামিক শিল্পখাতের সুরক্ষায় কাঁচামাল আমদানিতে ময়েশ্চার সমন্বয়ে কাঁচামাল ও উপকরণের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমানো, বিদেশ থেকে তৈরি সিরামিক পণ্য আমদানিতে আন্ডার-ইনভয়েসিং জনিত কারণে শুল্ক ফাঁকি রোধে ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্য হালনাগাদ করা জরুরি। দেশীয় টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক যথাক্রমে ১৫ ও ১০ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং মূসক ও আয়কর আইনের কতিপয় বিধান সংশাধনের প্রস্তাব করেন তিনি।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে দেশি বিদেশি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ৬৮টি সিরামিক শিল্প প্রতিষ্ঠান হয়েছে। দেশীয় উৎপাদক পণ্য রপ্তানি করে দেশের জন্য যেমন মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে সক্ষম, তেমনি ক্রমান্বয়ে তৈরি পণ্যের আমদানি হ্রাস পাওয়ায় কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ হচ্ছে। এ অবস্থায় কাঁচামাল ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ দেশগুলোর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাজারে অসম বাণিজ্য প্রতিযোগিতা থেকে দেশীয় সিরামিক শিল্পকে প্রসারের সহায়তায় প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

আলোচনা সভার সভাপতি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমাদের দেশে ১৯৯২ সালে সিরামিক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এনবিআরের সাপোর্টের কারণে সিরামিক শিল্প আজকের এই অবস্থানে এসেছে। দেশীয় চাহিদা পূরণ করে তারা এখন রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে। কোনো শিল্প যদি এগিয়ে যায় সেক্ষেত্রে এনবিআর দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় সহায়তার হাত বাড়াবে সব সময়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখার সদস্যসহ এনবিআর ও সিরামিক শিল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।  

অনিয়ম ও অসদাচরণের দায়ে হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারিকে পঞ্চাশ লাখ টাকা ও ওমরাহ এজেন্সির স্বত্বাধিকারিকে সর্বোচ্চ পনের লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান করে আইন প্রণয়ণ করা হয়েছে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন নামে প্রণীত আইন এ বছর থেকেই কার্যকর হবে। হজ ও ওমরাহ হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোন আইন কখনোই ছিল না। বিধি বিধান দ্বারা কর্মকাÐ পরিচালিত হত। একটি সুষ্ঠু সমন্বিত আইনের জরুরি প্রয়োজন বোধ করা হচ্ছিল।

হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, নিম্নমানের হোটেল, ঘরভাড়া করা, মিসফালাহ থেকে অনেক দূরে পাহাড়ের উপর আবাসন ব্যবস্থা করাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। হজযাত্রী, হাজীদের হয়রানি, ভোগান্তির অভিযোগ আসে প্রতি বছরই। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা  কোন সময়ই নেয়া হয়নি। রহস্যময় কারণে অসাধু হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের বোঝাপড়া রহস্যবৃতই থেকে যায়। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে আইনগতভাবেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিধান করা হয়েছে বলে জানান ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান। সদ্য প্রণীত আইনে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত হজ এজেন্সি ও ওরমরাহ এজেন্সির আংশিক বা পূর্ণ জামানত সরকারের অনুক‚লে বাজেয়াপ্ত করা হবে। কোন হজ বা ওমরাহ এজেন্সি কোন অনিয়মে পর পর দুইবার তিরস্কৃত হলে উক্ত এজেন্সির কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী দুই বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর উক্ত হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারি ও অংশীদার পরবর্তীকালে নিবন্ধন পাওয়ার অধিকারি হবেন না বা অন্য কোন এজেন্সির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে বা সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। কোন হজ বা ওমরাহ এজেন্সির উপর আরোপিত জরিমানার অর্থ নগদ অর্থে আদায়যোগ্য বা জামানত হতে কেটে নেয়া যাবে। কোন ব্যক্তি বা এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক জরিমানা বা শাস্তি আরোপিত হলে উল্লেখিত ব্যক্তি বা এজেন্সি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন না।

সরকার হাজীদের স্বার্থে একটি আপৎকালীন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দৈব-দুর্বিপাক, মৃত্যু, দুর্ঘটনা ছাড়াও হজযাত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট আকস্মিক প্রয়োজন পূরণ বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় নির্বাহ করা হবে এই তহবিল থেকে। সরকারি অনুদান, হজযাত্রীদের প্রদত্ত অর্থ, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ও বৈদেশিক অনুদানে এই তহবিল গঠিত হবে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী কোন হজ বা ওমরাহ এজেন্সি বাংলাদেশ-সীমানার বাইরে এই আইনের লঙ্ঘন অথবা এই আইনে বর্ণিত কোন অনিয়ম বা অসদাচরণ করলে তা বাংলাদেশের ভ‚খÐেই করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। জানা যায়,  কোন হজ বা ওমরাহ এজেন্সি কোন হজযাত্রী ও ওমরাহযাত্রীর সাথে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে বা তার সাথে কৃত অঙ্গীকার মোতাবেক প্রাপ্য সেবা দিতে ব্যর্থ হলে অনিয়ম ও অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। হজ বা ওমরাহ যাত্রীর হয়রানি, ভোগান্তি বা আর্থিক ক্ষতি হলে, অসত্য তথ্য বা প্রচারণার মাধ্যমে নিবন্ধন সনদ নিলে, নিবন্ধন সনদের শর্ত লঙ্ঘন করলে তা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি থাকবে। এই কমিটির সভাপতি হবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে ধর্মমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিমানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, ধর্ম সচিবসহ বিশজন সচিব, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা সদস্য থাকবেন। ধর্মমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে হজ  ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।