Home অন্যান্য টিকটক-লাইকি-বিগো:বেড়েছে আসক্তি

টিকটক-লাইকি-বিগো:বেড়েছে আসক্তি


বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি


ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান অনলাইনে কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বেশিরভাগ সময়ই অলসে করছেন শিক্ষার্থীরা। তথ্যপ্রযু্ক্তির এই যুগে দীর্ঘ এই অবসরে কম বয়সি শিক্ষার্থীরা বিগো লাইভ, টিকটক কিংবা লাইকির মতো প্লাটফর্মে ঝুঁকে পড়ছে। অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে আসক্তি।
দেশের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার কোটির মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। করোনা মহামারিতে দিনের বেশিরভাগ সময় তাদের থাকতে হচ্ছে ঘরবন্দি। স্মার্টফোনের সহজলভ্যতায় ঘরে বসে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই দিনের দীর্ঘসময় পার করছেন ভার্চুয়েল স্ক্রিনে চোখ রেখে।এই সুযোগে তারা ঝুঁকছেন ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ও লাইকির মতো প্লাটফর্মে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গেছে, করোনাকালে ভার্চ্যুয়ে প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিনগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাদের আশি শতাংশই শিক্ষার্থী।টিকটক, লাইকি অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে দেশের শিশু কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এবং সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে।
পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ভিডিও কন্টেন্ট নির্মাতা বাড়াতে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক নানা অফারও দিয়ে আসছে। আর সেসব অফারে থাকছে নগদ অর্থ উপার্জনের সুযোগ। এছাড়াও সময় কাটানো, বিনোদনের এবং অর্থ আয়ের পাশাপাশি এসব প্লাটফর্মে চলছে ভার্চুয়াল খ্যাতি অর্জনের এক অশুভ প্রতিযোগিতা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চিরায়ত ধারণা পাল্টে দিচ্ছে এসব ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম।
এ বিষয়ে সরকারের করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্য ও মনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল বলেন, এটা সত্য যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউটিউব, টিকটক এসবে উপস্থিতি বেড়েছে। আমরাই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ডিভাইস দিয়েছি হয়তো ক্লাস করার জন্য। কিন্তু তাদের একটি অংশ সেখানে ইউটিউবে যাচ্ছে, ফেসবুকে যাচ্ছে, এমনকি পর্নো সাইটেও যাচ্ছে।
এরজন্য অভিভাবকদের আরও যত্নশীল হতে হবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে আমরা বন্ধ রাখতে চাই তা কিন্তু না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখা হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য। আমাদের একটি সমীক্ষা বলছে যে, ১০০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনা হলেও কোনো সংক্রমণ লক্ষণ দেখা দেবে না। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে যেটা হবে যে, তারা বাইরে থেকে করোনা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করবে, আবার বিদ্যালয়েও অন্যদের মধ্যে তার সংক্রমণ করবে।