Home Second Lead টিকাদান কার্যক্রম শেষ হলে স্কুল-কলেজ খুলবে: প্রধানমন্ত্রী

টিকাদান কার্যক্রম শেষ হলে স্কুল-কলেজ খুলবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রম শেষ হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।

শনিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

টিকা দেওয়া শেষ হলে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদেরও তো করোনা হচ্ছে। । আমরা জেনেশুনে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না। শুধু বাংলাদেশেই এই অবস্থা না সারা বিশ্বেই একই অবস্থা। বাবা-মায়েরা চায় না তাদের সন্তানরা এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাক। আর যাদের ছেলে-মেয়ে নেই তারা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলেন।

শেখ হাসিনা তার সরকারের সময় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন বলেন, ‘আমরা সর্বস্তরে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। করোনাকালে স্কুল শুরু হবে এজন্য শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস, জুতো, ব্যাগ কেনা ও স্কুল ফিডিংয়ের জন্য বাজেটে টাকা রেখেছি। স্কুল বন্ধ আছে কিন্তু পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য সংসদ টিভি চালু আছে। আমরা রেডিও উন্মুক্ত করে দিয়েছি। রেডিও’র মাধ্যমে পাঠ চলছে। যেভাবে সম্ভব পড়াশুনার কাজটি চালিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমরা ভারত থেকে করোনা টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু ভারতে যেভাবে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে ফলে তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে কিছুদিন আমাদের সমস্যা হয়েছিল। এখন আর সমস্যা নেই। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা এসে গেছে আরও আসবে।

সকালে মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা আসার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, যেখানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে ,আমরা সেখানে যোগাযোগ করছি। আরও টিকা কিনে আনবো। চীন, রাশিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র সব জায়গায় আমরা যোগাযোগ রেখেছি। যত টাকা লাগে দেওয়া হবে, আরও টিকা নিয়ে আসা হবে দেশে। সব দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হচ্ছে। দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে বিনামূল্যে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

দেশের বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার ব্যবস্থায় যতো উন্নয়ন হয়েছে, তার সবটাই আওয়ামী লীগের সময় হয়েছে। বিএনপির আমলে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েও বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের সময় এক ছাত্রদল নেতার ঘাড়ে হাত রেখে আলোচনা করে বিচারপতির রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও ভোট চুরির সুযোগ তৈরির জন্য প্রধান বিচারপতির মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার বিষয়টিও করেছিল বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের প্রতি আহ্বান অন্তত নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, অন্যকেও সুরক্ষিত রাখুন। সবাই এটা মেনে চললে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো। টিকা আসা শুরু হয়েছে আর সমস্যা হবে না।

সরকারের সমালোচনা থাকবেই মন্তব্য করে সংসদনেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় তৃণমূলের গরীব মানুষের জন্য নীতি গ্রহণ করে।

করোনারালেও অর্থনীতি সচল রাখায় দেশের সব মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।