Home Second Lead নির্দোষ টিটিই শফিকুল,গার্ডের প্ররোচনায় অভিযোগ: তদন্ত রিপোর্ট

নির্দোষ টিটিই শফিকুল,গার্ডের প্ররোচনায় অভিযোগ: তদন্ত রিপোর্ট

তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ইশ্বরদী:সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলামের প্ররোচনায় সেদিন যাত্রী ইমরুল কায়েস মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলেন টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। টিটিই শফিকুল সম্পূর্ণ নির্দোষ।

তদন্ত কমিটি এই অভিমত দিয়েছেন প্রতিবেদনে। ঈশ্বরদী  ষ্টেশনের টিটিই শফিকুল ইসলাম  এবং তার বিরুদ্ধে যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত’র লিখিত অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় জমা হয়েছে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলামের নিকট তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক সাজেদুল ইসলাম বাবু প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেছেন। প্রতিবেদনে  ট্রেনের গার্ড শরিফুল এবং অভিযোগ দাখিলকারী যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত অভিযুক্ত হয়েছে ।

টিটিই শফিকুল

ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, প্রতিবেদনটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হবে। প্রতিবেদনের ফলাফল প্রসঙ্গে ডিআরএম জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলাম সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ওই দিনের ঘটনার জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলামের প্ররোচনায় যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত লিখিত মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিষয়বস্তুর আলোকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তদন্তকালে ট্রেনে কর্তব্যরত এবং সংশ্লিষ্ট ৯ জনের লিখিত ও ক্রসড প্রশ্নোত্তর গ্রহণ করা হয়েছে। এতে টিটিই শফিকুল নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম প্ররোচনার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন। দক্ষতা ও শৃংখলা বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযোগকারী যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তকে গণমাধ্যমের সামনে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিকট ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঈশ্বরদী রেল জংশন হতে ৫ মে রাতে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকেট ছাড়া এসি কেবিনে উঠে বসেন রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়দানকারী তিন যাত্রী। রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম জরিমানাসহ তাদের টিকিট বানিয়ে দিয়ে রোষানলে পড়েন। ওই তিন যাত্রীর মধ্যে ইমরুল কায়েস প্রান্ত টিটিই’র বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অশোভন আচরণের অভিযোগ দেন।

পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ওই ট্রেনে ডিউটিরত অবস্থায়  শফিকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ মে রেলমন্ত্রীর নির্দেশে টিটিই শফিকুলের বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

প্রথমে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানের কথা বলা হলেও পরে আরও ২ দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। ১২ই মে ছিলো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওইদিন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়নি। এরই মধ্যে সাপ্তাহিক ও মাঘী পূর্ণিমার ছুটি শেষে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়েছে।