- মঙ্গলবার সকালে পৌঁছবে সেঁজুতি
- কাস্টমস এসকর্টে যাবে ট্রানজিট কন্টেইনার
বিজনেসটেুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: প্রতিবেশি ভারতের ট্রানজিট কার্গো হ্যান্ডলিং-এর জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। শুল্ক সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম এবং স্কটের জন্য প্রস্তুত কাস্টম হাউসও। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে পৌঁছবে কোস্টাল জাহাজ এমভি সেঁজুতি।
চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য পণ্য পরিবহনের ট্রায়াল রান এটা। সেঁজুতিতে রয়েছে ট্রানজিটের ৪ কন্টেইনার কার্গো। দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় শিপমেন্ট হওয়া কন্টেইনারগুলো গন্তব্যে পৌঁছানোর পর ভারতের ব্যবসায়ীরা পর্যালোচনা করে দেখবেন সুবিধা-অসুবিধাগুলো, কস্টিং। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন ত্রিপুরা চেম্বার প্রেসিডেন্ট এম এল দেবনাথ।
সেঁজুতির স্থানীয় এজেন্ট ম্যাংগো শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, রবিবার সকালে হলদিয়া ছেড়েছে সেঁজুতি। এখন চট্টগ্রামের পথে। ১৬ জুলাই কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি থেকে ট্রানজিটের কন্টেইনারগুলো তুলে দেয়া হয়েছে। জাহাজটিতে মোট ২২১ কন্টেইনার রয়েছে। ট্রানজিটের বাইরের বাংলাদেশের আমদানিকারকদের পণ্যভর্তি ২১৭ কন্টেইনার কলকাতা এবং হলদিয়া থেকে শিপমেন্ট হয়েছে।
বন্দরে বর্তমানে জাহাজজট নেই। মঙ্গলবার দিনের প্রথম জোয়ারে সেঁজুতি বার্থ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বিজনেসটুডে২৪ কে জানান, ট্রায়াল রান উপলক্ষে কোন আনুষ্ঠানিকতা নেই। তবে, তা যাতে একেবারে নির্বিঘ্নে হয় তার যাবতীয় প্রস্ততি রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি ও বিদ্যমান বার্থিং নীতিমালা অনুসরণে সেঁজুতিকে বার্থ দেয়া হবে। বন্দরের চার্জসমূহ আদায় করা হবে নির্ধারিত ট্যারিফ সিডিউল মোতাবেক।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, ট্রানজিট পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট ৭টি মাশুল আদায় করবে। তাতে কন্টেইনার প্রতি মোট মাশুল হবে ৪৮ ডলার থেকে ৫৫ ডলার।
কাস্টম হাউস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম জানান, যাবতীয় কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ট্রানজিট পণ্যভর্তি কন্টেইনারগুলো বন্দর থেকে কাস্টমস এসকর্টে যাবে সীমান্ত পর্যন্ত।
জাহাজ থেকে খালাস করে কন্টেইনারগুলো ট্রেইলারে সড়ক পথে যাবে ওপারে। প্রথম ট্রায়াল রানের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রযোজ্য প্রশাসনিক ফি মওকুফ করা হয়েছে। গত ৫ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনকে পাঠানো চিঠিতে তা জানানো হয়েছে। তবে ট্রায়াল রানে অন্যান্য ফি প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যেগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়।