বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেন, শিগগিরই বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন তিনি। ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে শুরুতেই বাতিল করেন বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ।
শপথ গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষণা করে বলেন, আমি ইউক্রেনের যুদ্ধ থামিয়ে দেব, আমি মধ্যপ্রাচ্যের সব সমস্যা মিটিয়ে দেব, আমি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আটকাব।…একটা ব্যর্থ, দুর্নীতিপূর্ণ শাসনের অবসান হবে, আগামী কাল থেকে নতুন দিন দেখবে আমেরিকা।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগেই কখনও মজা করে কানাডাকে মার্কিন অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন, কখনও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার কথা বলেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায় এর আগে পানামা খাল পুনর্দখলের বার্তাও শোনা গিয়েছিল। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার ওভাল অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই ফের তাঁর গলায় ‘পানামা কানাল ফিরিয়ে নেওয়ার’ কথা শোনা গেল।
ট্রাম্প অভিষেক ভাষণে বলেন, ‘আমরা এই খাল তো চিনকে দিইনি, দিয়েছিলাম পানামাকে। আর এখন আমরা এটা ফেরত নেব।’ অথচ পানামা খাল কীভাবে আমেরিকা ‘ফিরিয়ে নেবে’, সেই সংক্রান্ত কোনও বিস্তারিত তথ্য ট্রাম্প দেননি। এর আগে অবশ্য এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি ট্রাম্প। যা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছিল।
পানামা খাল একসময় তৈরি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘকাল সেটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তবে প্রেসিডেন্ট কার্টার চুক্তি করে সেটি পানামাকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। সেই অনুযায়ী, ১৯৯৯ সাল থেকে খালটি পানামার হয়ে যায়। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সম্প্রতি পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজের যাতায়তে অনেক বেশি চার্জ করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের যাবতীয় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি বার্তা লিখে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো দাবি করেন, আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বের বাণিজ্যের স্বার্থে দায়িত্ব সহকারে পানামা খাল পরিচালনা করছে তাঁর দেশ এবং সেটা তারা ভবিষ্যতেও করতে থাকবে।