বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
‘বঙ্গভ্যাক্স’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিচার্স কাউন্সিলের এথিক্যাল কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের গবেষণাগারে নভেল করোনাভাইরাসের এক ডোজের ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ আবিষ্কারক দলের প্রধান দুই বিজ্ঞানী কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে দুই বিজ্ঞানী জানান, বর্তমানে ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিচার্স কাউন্সিলের এথিক্যাল কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, তথ্যসচিব খাজা মিয়া, সাবেক মুখ্যসচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবদুল করিম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য গ্লোব বায়োটেক ১৭ জানুয়ারি তাদের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’-এর প্রটোকল জমা দেয়। বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) এই প্রটোকল জমা দেওয়া হয়। এই প্রটোকলের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ‘এথিক্যাল অ্যাপ্রুভাল’ চাওয়া হয়।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গ্লোব বায়োটেকের পক্ষে তাঁদের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন প্রটোকল জমা দেয়। বিএমআরসিতে ২০টি ফাইলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল জমা দেওয়া হয়েছে। এই আবেদন অনুমোদন পেলে বিএমআরসি সিআরওকে জানিয়ে দেবে। মূলত সিআরও লিমিটেড এ ট্রায়াল করবে।
ডা. আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, ‘এথিক্যাল অ্যাপ্রুভাল নিয়ে সিআরও লিমিটেড ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে তা জমা দেবে। তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে এবং ঔষধ প্রশাসন অনুমতি দিলে আমরা একটি সরকারি হাসপাতালে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করব। আশা করছি আমরা অনুমোদন পাব এবং সামনে ভালো কিছু হবে।’
গ্লোব বায়োটেক জানিয়েছে, পুরো প্রটোকল প্রতিবেদনসহ ১০ হাজার পৃষ্ঠারও বেশি জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেককে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদনের জন্য অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারপর থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
গেল বছরের২৮ ডিসেম্বর ডা. আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, ‘গত ডিসেম্বর থেকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি গ্লোব বায়োটেকের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিল। সব মিলিয়ে আমাদের সক্ষমতা আছে কি না, তা যাচাই করেছে ঔষধ প্রশাসন। সবশেষে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে।’
তিনি বলেন, “গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ওই তিনটির একটি ‘D614G variant mRNA vaccine’। আমরা এই টিকার নাম দিয়েছি ‘বঙ্গভ্যাক্স’। মূলত এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে। স্বাস্থ্যসচিব টিকাটির নাম ‘বঙ্গভ্যাক্স’ করা যায় কি না, সেটা দেখতে বলেছিলেন। তারপর আমরা এই নামকরণ করি।”