Home কৃষি ঠাকুরগাঁওয়ে সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি

ঠাকুরগাঁওয়ে সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি

মোঃসোহেল রানা, ঠাকুরগাঁও থেকে: ঠাকুরগাঁওয়ে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সারের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। এতে সংকট ও দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ কৃষকেরা। এলাকায় সবজি, ভুট্টা, গম, আলু, আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হলেও চাষিরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।
জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের ৫০ কেজির বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি। সারের ৫০ কেজির বস্তার সরকার নির্ধারিত মূল্য ইউরিয়া ৮০০ টাকা, টিএসপি ১১০০টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করার কথা থাকলেও মানছে না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপির সরকার নির্ধারিত দাম ১১০০ টাকা। কিন্তু কৃষকদের কিনতে হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকায়। অন্যদিকে ৮০০ টাকার ডিএপি বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকা। ৭৫০ টাকার এমওপি ১১০০ টাকাতেও না মেলার অভিযোগ করেছে কৃষকরা।
কৃষকেরা অভিযোগ করেন, বাজারে সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বলে। দোকানে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখা দামে সার ক্রয় করতে চাইলে বা রশিদ চাইলে সার বিক্রি করছে না ব্যবসায়ীরা। প্রতি বস্তা ৪০০/৫০০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।
মোঃমকবুল নামে এক কৃষক বলেন, এবার সারের দাম খুব বাড়তি । সার পাওয়া যাচ্ছে না। টিএসপি সার ১৪০০ টাকা বস্তা দরেও কিনতে হচ্ছে । আর ইউরিয়া বিক্রি হয়েছে ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকায়। পটাশ কিনতে হয়েছে ৯০০ টাকা বস্তা।
মূল্য বাড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতারা বলেন, চাহিদার তুলনায় সার কম বরাদ্দ পাওয়ায় কৃষকদের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বেশি দামে কিনছি তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। অন্য জায়গা থেকে এনে দিলে দাম তো বেশি পড়বেই।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, ‘যে কৃষকেরা সার পাচ্ছে না তারা যেন আমাদের কৃষি অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।’
বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগে পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান।
সারের সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধির ফলে জেলায় এ মৌসুমে চাষ ব্যাহত হতে পারে। কৃষকরা বর্তমানে মাঠে সবজি, ভুট্টা, আলুসহ বিভিন্ন ফসল লাগাচ্ছেন। সারের অভাবে চাষ বন্ধ থাকলে এ মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রা অর্জন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক কৃষক নির্ধারিত সময়ে সার কিনতে না পারার আশঙ্কায় চাষ থেকে বিরত থাকছেন।