বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: লাইটার জাহাজ মালিক ও এজেন্টদের কমিশন নিয়ে বিরোধে বুধবার ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল ( ডব্লিউটিসি )-এ বুধবার বার্থিং সভা হয়নি। জাহাজ বরাদ্দ না হওয়ায় বহির্নোঙরে অবস্থানরত প্রায় ৬০টি মাদার ভেসেলের বিপরীতে কমপক্ষে ৬ লাখ ডলার গচ্চা গেছে ডেমারেজ বাবৎ।
বড় বড় যেসব মাদার ভেসেল বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসে সেগুলো জেটিতে আসে না। বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাস করে ফিরে যায়। মাদার ভেসেলসমূহের পণ্য খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় লাইটার জাহাজের চাহিদা ডব্লিউটিসিকে জানায় পণ্যের এজেন্টরা। তাদের ইনডেন্ট অনুসারে বার্থিং সভায় জাহাজ বরাদ্দ দেয় সংস্থাটি।
জাহাজ মালিকরা নিজেরা পরিচালনা করেন অথবা কমিশনে পরিচালনার জন্য অন্যপক্ষকে অর্থাৎ লোকাল এজেন্টকে দেন। মালিকের কাছে থেকে তারা টনপ্রতি ১৫ টাকা হারে কমিশন পেয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের দাবি ২০ টাকা কমিশন। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য চলছে বেশ কিছুদিন ধরে।
বুধবার পণ্যের এজেন্টরা প্রতিদিনের মত যথারীতি ইন্ডেন্ট দেয় ডব্লিউটিসিকে। এরপর সংস্থাটি জাহাজ বরাদ্দের ছাড়পত্রের ওপর ১৫ টাকা কমিশনের সীল লাগিয়ে দেয়। এতে বিক্ষুব্ধ লোকাল এজেন্টরা বার্থিং সভা বয়কট করে। তাদের কয়েকজন বিজনেসটুডে২৪ কে জানালেন, সংস্থাটি জাহাজ মালিকদের স্বার্থে তাদের হয়ে সীল লাগিয়ে দেয়ার কাজটি করেছে। এটা তাদের আওতার মধ্যে পড়ে না। কারণ কমিশনের বিষয়টি জাহাজ মালিক এবং লোকাল এজেন্টের। ডব্লিউটিসি অতি উৎসাহী হয়ে মালিকদের পক্ষ অবলম্বন করে কাজটি করেছে। এ অবস্থায় বুধবার আর লাইটার বরাদ্দ হয়নি। বহির্নোঙরে অবস্থানরত মাদার ভেসেলসমূহে কোন লাইটার যায়নি মাল খালাসে। অর্থাৎ প্রতিটি মাদার ভেসেলকে অতিরিক্ত একদিন অপেক্ষা করতে হবে। গড়ে প্রতিটিতে ১০ হাজার ডলার হিসেবে ৬০টিতে ডেমারেজ গুণতে হবে প্রায় ৬ লাখ ডলার। মাদার ভেসেলেসমূহে পাথর, গম, ক্লিংকার, ইউরিয়া, লবণ, টিএসপি, কয়লা ইত্যাদি পণ্য রয়েছে।
ডব্লিউটিসি’র নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ খান-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে বুধবারের বার্থিং সভা না হওয়ার ব্যাপারে জানান যে লাইটার জাহাজের মালিক এবং লোকাল এজেন্টদের মধ্যে বিরোধের কারণে জাহাজ বরাদ্দ হয়নি। বর্তমানে কমিশন ১৫ টাকা, সেটাকে ২০ টাকা করার জন্য দাবি এজেন্টদের। মালিকরা তাদের এসোসিয়েশনের নির্বাচনের পর উভয় পক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন। বুধবার না হলেও আজ বার্থিং সভা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহবুব রশিদ খান।
জাহাজ এজেন্ট ও মালিকদের কারণে অতি সম্প্রতি আরও একদিন বার্থিং সভা হতে পারেনি ডব্লিউটিসিতে ।