Home First Lead ডলারের দাম ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গেল

ডলারের দাম ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গেল

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: মার্কিন ডলারের শক্তি বাড়ছেই। টাকার বিপরীতে দাম দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রবিবার (২৪ অক্টোবর) খোলাবাজার ও নগদ মূল্যে ডলার ৯০ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মূল্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবিনিময় হার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন  থেকে জানা যায়, ২ আগস্ট ডলার বিনিময় হয়েছে ৮৪.৮১ টাকায়। যা আগের দিনের তুলনায় ১ পয়সা বেশি। একটানা বেড়ে গত রবিবার ছিল আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৫ টাকা ৭০ পয়সা। তবে খোলাবাজার ও নগদ মূল্যে ডলার ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৯০ টাকা ১০ পয়সা।

গত বছরের জুন মাস থেকেই রেমিট্যান্স কমতে শুরু করে। অপরদিকে,  বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বৈদেশিক বাণিজ্যে গতি এলে বাজারে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য ডলার সরবরাহ শুরু করে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রচুর ডলার জোগান দিয়েছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। অথচ গত অর্থবছরের কোনো ডলার বিক্রি করতে হয়নি, উল্টো ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া ডলারের দর বাড়ার বড় কারণ। তাছাড়া রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তুলনায় আমদানি প্রবৃদ্ধির হার বেশি থাকায় ডলারের বিক্রি বেড়েছে।

বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ৮৮-৮৯ টাকায় ডলার কেনাবেচার পর গত ৩-৪ দিন ধরে হঠাৎ বেড়ে গেছে ডলারের দাম। বর্তমানে আমরা ৮৯ টাকা ৮০ পয়সায় ডলার কিনছে তারা । আর বিক্রি করছে ৯০ টাকা ১০ থেকে ২০ পয়সায়।

চিটগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বিজনেসটু২৪ কে বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অথনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতিসহ সব ধরণের পণ্যের আমদানি বাড়ছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও করোনার মধ্যেই সরকার শিল্প কারখানা পুরোদমে খুলে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করায় বর্তমানে উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে টাকার বিপরীতে ডলারের হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধিতে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামালের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাগণ আর্থিকভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এর দায়ভার শেষ পর্যন্ত ভোক্তাসাধারণকেই বহন করতে হবে। একই সাথে মহামারীগ্রস্ত অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে যা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।