Home First Lead খোলাবাজারে ডলার ১১২ টাকা

খোলাবাজারে ডলার ১১২ টাকা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর  কার্ব মার্কেটে বিক্রি হয়েছে ১১২ টাকায়। এটাই এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।

কার্ব মার্কেটের বিক্রেতাদের কয়েকজন জানালেন, খোলাবাজারে ডলারের তীব্র সংকট। বিভিন্ন উৎস থেকে এই মার্কিন মুদ্রাটি আসে কার্ব মার্কেটে। আগে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে নগদ ডলার নিয়ে আসতেন বেশি। এ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছেও বাড়তি যেসব ডলার থাকত সেগুলো বিক্রি করে দিতেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে দাম আরও বাড়বে এমন সম্ভাবনায় অনেকেই ডলার বিক্রি করছেন না। নিজেদের কাছে মজুদ রেখে দিচ্ছেন। প্রবাসীদের দেশে আসা কমেছে, বিদেশি পর্যটকরাও কম আসছেন। এ কারণে ডলারের সরবরাহ কম। এ অবস্থায় ডলারের প্রবাহ কমে গেছে।

অন্যদিকে,  বিদেশ ভ্রমণ ও বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এ কারণে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। গত মে মাসে ব্যাংকে নগদ ডলারের দাম ১০০ টাকায় উঠেছিল। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তা কমে আসে। তখন কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম  ১০৪ টাকায় উঠেছিল। পরে দাম কমে ৯৬ টাকায় নেমে যায়। এরপর থেকে ব্যাংক কয়েক দফায় ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে খোলা বাজারেও এর দাম বেড়েছে। কার্ব মার্কেটের নির্দিষ্ট কোন বাজার নেই। তবে,  মতিঝিলে বিভিন্ন ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা শাখার সামনে তারা দাড়িয়ে ডলার কেনাবেচা করে। মানি এক্সচেঞ্জসমূহও নগদ ডলার অফিসিয়াল চ্যানেলের বাইরে বেআইনীভাবে বেচাকেনা হয়। কারণ অফিসিয়াল চ্যানেলে ডলারের দাম কম।

আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এ বাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১১২ টাকায়, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। গতকাল সোমবারও খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ১০৫ টাকা থেকে ১০৬ টাকা। একদিনের ব্যবধানে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ছয় টাকা।খোলাবাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ওঠে গত রবিবার। ওইদিন খোলাবাজারে ডলারের দর ১০৫ টাকায় উঠেছিল। সেখান থেকে সোমবার আবার ১ টাকা কমে ১০৪ টাকায় বিক্রি হয়।

চলতি বছরের শুরু থেকেই খোলা বাজারে নিয়মিত ডলারের দাম বেড়েছে। গত ঈদুল আজহার আগেও বাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল।

গত বছরের ২৬ জুলাই প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। এর বিপরীতে গত এক বছরে টাকার মূল্য কমেছে ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বর্তমানে দেড় বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বিদেশে আটকে আছে। যেটা এখনো আনা হয়নি। এছাড়া, ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে (বিদেশে থাকা দেশীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট) প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট প্রসিডস রিকনসিলিয়েশন হিসাবে আটকে আছে। সবমিলিয়ে ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার দ্রুত আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।