বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: গত সপ্তাহে কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কিনতে হয়েছে ১২০ টাকা করে। আর মঙ্গলবার তা নেমে এসেছে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সায়।
খোলাবাজারে ডলারের লাগামহীন মূল্য নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও ব্যাংকগুলোকে ডলার কেনাবেচার সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মানি এক্সচেঞ্জ যে দামে ডলার কিনবে, তার চেয়ে এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। আর ব্যাংক ডলার বিক্রি করবে এক টাকা বেশি দরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপের ফলে ডলারের ঊর্ধ্বগতি থামে। কমতে থাকে খোলাবাজারে ডলারের দাম।
কার্ব মার্কেটে এখন ডলারের সরবরাহ প্রচুর। কিন্তু ক্রেতা কমে গেছে। অপরদিকে, বিভিন্ন ব্যাংক প্রতি ডলার ১০২ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে। অবশ্য, কোন কোন ব্যাংক ১০৩ টাকায় কিনে ১০৪ টাকায়ও বিক্রি করছে।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ডলার পাননি গ্রাহকরা। বাধ্য হয়ে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনতে হয়েছে তাদেরকে। এই সুযোগকে কাজে লাগায় ডলার সিন্ডিকেট চক্র। হু হু করে বেড়ে যায় ডলারের দাম।
ডলারের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি, ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের যোগসাজশের তথ্য পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সুযোগসন্ধানী ব্যাংকার ও দালালচক্রের কারণে ৯৫ টাকার ডলার ১২০ টাকায় কিনতে বাধ্য হন সাধারণ ক্রেতারা। কারসাজিতে জড়িত থাকার দায়ে ছয়টি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠিও দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে, ডলার নিয়ে কারসাজিতে গড়ে ওঠা চক্রকে ধরতে তৎপর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তবে দালালদের দৌরাত্ম্য থামেনি। ক্রেতারা এক্সচেঞ্জ হাউজে যাওয়ার আগেই দালালচক্র তাদের ফাঁদে ফেলেন। বিভিন্ন প্রলোভনে তাদের কাছে ডলার বিক্রি করেন। অভিযোগ রয়েছে, দালালচক্রের সদস্যদের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ হাউজের মালিক ও কর্মচারীদের সংযোগ রয়েছে।
