জানুয়ারিতে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। মাসের শুরুতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর পর ২৩ মার্চ তা আবার ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল ডলারের দাম বাড়ানো হয় আরও ২৫ পয়সা। তাতে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য আবারও ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
১৬ মে ৮০ পয়সা বাড়ানো হয়। ফলে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। ২৩ মে আরও ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রতি ডলারের দাম ৮৯ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জুন) প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৯০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ আজ (৬ মে) ১ টাকা ৬০ পয়সা বাড়িয়ে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৯১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ায় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এর মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে বৈশ্বিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় খরচ বেড়ে যায়। তাতে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। তাতে বিশ্বের অনেক দেশের মত বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার মানও ডলারের বিপরীতে কমতে থাকে।
ডলারের দাম প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমদানি চাপের কারণে চাহিদা বেড়েছে।
খোলা বাজারে বেশি দামের বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, কার্ব মার্কেটে খুচরা ডলার কেনাবেচা হয়। ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে যাওয়ার সময় কিছু ডলার সঙ্গে নিতে হয়। ওইসব ব্যক্তিরা সহজে খোলা বাজার থেকে ডলার কেনেন। এখন সেখানে চাহিদা বেশি। এই সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডলারের দাম বেশি নিয়ে মুনাফা করছে। আর আমদানির ক্ষেত্রে যেসব ব্যাংক বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে, তাদের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখছে। কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।