ঔষধীয় গুণের কারণে রসুন স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপযোগী। প্রত্যেক বাড়িতে রান্নায় নানান ভাবে রসুনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য রসুন উপকারী। তাই নিজের নিয়মিত সাধারণ চা-কে রসুন চায়ে পরিবর্তিত করে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড শুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। রসুনে অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি ভায়রাল গুণ থাকে। এ ছাড়াও রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এখানে জানুন রসুন চায়ের উপকারিতা।
১. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা জরুরি। রসুন চা এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক পানীয়। যা সুস্বাস্থ্য ও উন্নত প্রতিরক্ষার জন্য দায়ী। এ ছাড়াও রসুনে ভিটামিন সি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. মধুমেহ শরীরে ফোলা ভাব ও ইনফ্লেশান সৃষ্টি করে। যা কম করতে রসুন উপযোগী। তাই মধুমেহ হলে রসুনের চা পান করলে উপকার পেতে পারেন। আবার রসুন চা টাইপ ২ মধুমেহ রোগগ্রস্তদের রক্তে শর্করার স্তর কম করতে সাহায্য করে। এর ফলে ব্যক্তির ব্লাড শুগারের স্তর সহজে কম করা যায়।
৩. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে কোলেস্টেরল কম করতেও রসুনের চা উপযোগী। যার ফলে মধুমেহর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়।
৪. মধুমেহ রোগীদের ক্যাফেন যুক্ত চা পান করা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। সাধারণ চায়ের স্বাস্থ্যকর বিকল্প এই রসুনের চা।
৫. আবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনের চা পান করলে অ্যামিনো অ্যাসিড হোমোসিস্টিনকে প্রাকৃতিক ভাবে কমিয়ে দেয়। যার ফলে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
রসুন চা তৈরির প্রণালী:
উপকরণ
- ৩ কাপ জল
- ৩টি রসুনের কোয়া
- আধ কাপ মধু
- আধ কাপ লেবুর রস
প্রণালী
একটি সসপ্যানে ৩ কাপ জলে ৩টি রসুনের কোয়া দিয়ে ভালো ভাবে ফুটিয়ে নিন। তার পর গ্যাস বন্ধ করে এতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
আধ কাপ করে দিনে তিন বার পান করতে পারেন। অতিরিক্ত বেঁচে গেলে রেফ্রিজারেট করে রাখা যেতে পারে।