বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ডায়াবিটিস রোগটি এখন খুবই বাড়ছে। এই অসুখে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে আক্রান্ত রোগী। এবার ডায়াবিটিস একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ হওয়ায় অনেক কিছু বারণ থাকে এই অসুখ হলে। এক্ষেত্রে চিনির উপর একটা নিষেধজ্ঞা থাকে। এবার এই রোগীরা চিনি তো খাবেন না, কিন্তু তার বদলে কি খাওয়া যায় গুড় ? এই প্রশ্নেই সরগরম থাকে সাধারণ মানুষের মন।
ডায়াবিটিস হল ইনসুলিনের সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া রোগ। ইনসুলিন হল শরীরে থাকা একটি হরমোন। এই হরমোন শরীরে কম বেরলে বা না বেরলে হয় ডায়াবিটিস। এবার সুগার রোগটির ক্ষেত্রে খাওয়া হবে নিয়ন্ত্রিত। তবেই এই সমস্যার থেকে আপনি দূরে যেতে পারবেন। তবে চিন্তার কিছু নেই একটু নিজেকে আটকে রাখতে পারলে অনায়াসে রোগ থেকে জেতা যায়।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার বিশিষ্ট সুগার রোগ বিশেষজ্ঞ ও মেডিসিনের চিকিৎসক ডা: আশিস মিত্র বলেন, সুগার রোগটি এখন খুবই দেখা যায়। এবার ডায়াবিটিস থাকলে চিনি খাওয়ায় বারণ থাকে। কারণ চিনি শরীরে হু হু করে বাড়িয়ে দেয় সুগার। তখন ইনসুলিনকে অনেক বেশি খাটতে হয়।
অনেকেই ভাবেন যে চিনি না খাওয়া হলেও খাওয়া যায় গুড় । ডায়াবিটিস রোগীদের কি সত্যিই গুড় খাওয়া ভালো? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে এই লেখা।
ডায়াবিটিসে গুড় খাওয়া যায়?
এই প্রসঙ্গে ডা: আশিস মিত্র বলেন, আসলে গুড় হল একটি দারুণ খাবার। এই খাবারটি সাধারণ মানুষ খেতে পারেন। তবে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য গুড় ভালো নয়। এক্ষেত্রে গুড়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে বেশি। ফলে দ্রুত শরীরে বাড়ে সুগার। তাই এই খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে সুগার রোগীদের।
গুড় তো খুবই স্বাস্থ্যকর!
ডা: আশিস মিত্র বলেন, নিশ্চয়ই গুড় ভালো। এরমধ্যে বেশকিছু ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ অনায়াসে খেতে পারেন। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে হাই ক্যালোরি খাবার হওয়ায় গুড় বেশি খাওয়া ভালো নয়। বরং কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।
তবে চিনির বদলে কি খাবেন?
ডা: আশিস মিত্র বলেন, এখন স্টিভিয়া পাতা থেকে তৈরি কিছু সুগার ফ্রি তৈরি হয়। এটা খুব ভালো খাবার। এটা চিনির বিকল্প হতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা এই চিনির বদলে এই খাবার কিন্তু শরীরের জন্য দারুণ। এমনকী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই চিন্তা করে লাভ নেই।
জীবনযাত্রায় কী পরিবর্তন?
ডা: আশিস মিত্র বলেন, এটা একটা লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগে জীবনযাত্রা নিয়ে মানুষকে ভালোমতো ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে সারাদিনে খাবার খান মেপে। বিশেষত, খাবার খেতে হবে ক্যালোরির হিসাব অনুযায়ী। তবেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে।
এছাড়া ব্যায়াম হল মাস্ট। দিনে ৩০ মিনিট সময় বের করুন। এইটুকু সময় হাঁটতে হবে বা ব্যায়াম করতে পারলে বেশি ভালো হয়। এক্ষেত্রে কোনও দিন রেস্ট নেওয়া চলবে না। বরং হাঁটতে হবে মোটামুটি ৭দিনই। তবেই ভালো থাকবেন। আর খুব সমস্যা হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। তিনিই আপনাকে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিতে পারেন। এমনকী নিয়মিত চেকআপে থাকুন।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।