বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: পরীমণিকে মঙ্গলবার ১৫ জুন ডিবি কার্যালয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার যাবতীয় সেখানে জানিয়েছেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদশেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এত দ্রুত এভাবে সব হবে ভাবিনি। ম্যাজিক্যালি সব হয়ে গেছে। পুলিশ খুব দ্রুত সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি এখন ভরসা পাচ্ছি, যে ন্যায্য বিচার পাবো। আমি ওনাদেরকে ধন্যবাদ দিতে এখানে এসেছি।’‘ আমি শুরুতে হেল্প চাইলেও পাইনি। সেদিন বনানী থানায় ওসি না থাকায় আমার অভিযোগ নেওয়া হয়নি। শিল্পী সমিতিও আমাকে সেসময় হেল্প করেনি। এখন আমি বিচার পাচ্ছি।’
গত ৯ জুন উত্তরা বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির ইউ মাহমুদ ও ব্যবসায়ী অমি পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন পরীমণি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি লেখেন। পরে সেদিন রাত ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেন। ১৪ জুন তিনি সাভার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অমি, নাসিরসহ তিন নারীকে গ্রেপ্তার করে।
পরীমণি বলেন, ‘দয়া করে আমাকে সুস্থ জীবন-যাপন করতে দিন। আপনারা সাবই আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন, আমাকে আরেকটু সাহায্য করেন যাতে আমি স্বাভাবিক হয়ে কাজ করতে পারি।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৯ জুন বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও অমির সঙ্গে দুটো গাড়িতে করে উত্তরার দিকে যান পরীমণি। তার ছোট বোনও সে সসময় সঙ্গে ছিলেন। পথে অমির কথায় বোট ক্লাবের সামনে থামেন তারা। অমি তাদের ভেতরে ঢোকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পরে নাসির মাহমুদ কফি পানের আমন্ত্রণ জানান বলে মামলায় বলা হয়। এরপর অমি মদ পানের জন্য জোরাজুরি করে। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে ১ নং আসামি (নাসির) জোর করে আমার মুখের মধ্যে বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। নাসির মাহমুদ তখন ‘অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ’ করতে থাকেন এবং ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন পরীমণি।