বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে নিয়ে নতুন করে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রথমে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। পরে এ মামলাটিসহ সাতটি মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশ সদরদপ্তরের এক নির্দেশনায় মামলাগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
মামলাগুলো হচ্ছে, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ৩টি, মৌ এর একটি, হেলেনা জাহাঙ্গীরের পল্লবী থানার একটি, পরীমনির একটি ও নজরুল ইসলাম রাজের একটি।
এরআগে গতকাল সাংবাদিকদের কাছে ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, পরীমনির মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। এই মামলায় তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ওঠা আরও কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। আমাদের কাছে তথ্য আছে পরীমনি অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছেন। এ পথে আসতে এক নারী থাকে সহযোগিতা করেছে। আমরা সেই নারীকে খুঁজছি। তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে। এছাড়া ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার সময় পরীমনির সঙ্গে জিমি নামের এক ব্যক্তি ছিলেন। তার বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজ কথিত কয়েকজন মডেল দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নজনকে বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিতেন। তার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। মূলত রাজ স্বল্প শিক্ষিত একজন লোক। ঢাকায় প্রথম এসে তিনি ছোট একটি চাকরি করতেন। পরে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ বাড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে নারী সরবরাহ করে টাকা কামিয়েছেন। আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে নারী সরবরাহ করা। জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে বিভিন্নজনের নাম আমরা পেয়েছি। নামগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার বলেন, সমাজে যারা অবৈধ পন্থায় কোটিপতি হয়েছেন তারা এবং তাদের সন্তানেরাই বিভিন্ন পার্টিতে গিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে।