Home পর্যটন আদিবাসী জীবনধারায় পূর্ণ ডিমপাহাড়

আদিবাসী জীবনধারায় পূর্ণ ডিমপাহাড়

ডিম পাহাড়্। ছবি সংগৃহীত

বান্দরবানের আলীকদম এবং থানচি থানার মাঝখানে ডিম পাহাড়ের অবস্থান। বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু সড়ক হিসাবে পরিচিত থানচি-আলীকদম সড়ক। এই সড়ক পথেই ডিম পাহাড়  এর অবস্থান। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ভ্রমণকারীদের কাছে এই রাস্তা এবং ডিম পাহাড় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যময় আদিবাসী জীবনধারায় পরিপূর্ণ ডিম পাহাড় দিয়েই আলীকদম ও থানচি থানার সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আলীকদম-থানচি সড়ক নির্মাণের ফলে বর্তমানে ডিম পাহাড়ে গমন সহজতর হয়েছে।

আলীকদম হতে ক্রমশ উঁচু হতে হতে প্রায় ২৫০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাহাড়ী পথ দিয়ে চলতে চলতে প্রকৃতির যে রূপ চোখে পড়ে তা ভাষায় ব্যাখ্যা করা কঠিন। ইতিহাসের সাক্ষী হোক কিংবা সৌন্দর্য দর্শন ভ্রমণকারী এখান থেকে ফিরে যান অন্যরকম আত্মতৃপ্তি নিয়ে।

কিভাবে যাবেন

আলীকদম থেকে চান্দের গাড়ী রিসার্ভ নিয়ে অথবা মোটরসাইকেল ভাড়া করে আলীকদম – থানচি রাস্তা ধরে চলে যান ডিম পাহাড়ে। ডিম পাহাড় ঘুরে থানচি বাজারে খাওয়া দাওয়া সেরে বান্দরবান হয়ে ফিরতে পারেন অথবা আলীকমদেও ফিরে আসতে পারেন।

ঢাকা হতে বান্দরবান হয়েও ডিম পাহাড়ে যেতে পারবেন। বান্দরবান থেকে লোকাল বাস কিংবা চান্দের গাড়িতে থানচি বাজার এসে ডিম পাহাড়ে যাওয়ার চান্দের গাড়ি ও মোটরবাইক পাবেন।

কোথায় থাকবেন

রাতে থাকতে চাইলে থানচিতে বিজিবি রিসোর্টে যোগাযোগ করতে পারেন। থানচি বাজারে আরও কিছু সাধারণ মানের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আলীকদমে নতুন চালু যাওয়া উপজেলা রোডের দ্যা দামতুয়া ইন (০১৭৪৮-৯১২১২৭) অথবা জেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে থাকতে পারবেন।

খাওয়া দাওয়া

থানচি, আলীকদম ও পানবাজারে বেশ কিছু দেশীয় খাবারের হোটেল আছে। খুব আহামরি না হলেও মোটামুটি মানের খাবার পাবেন। ভাত, মুরগি, মাংস ও মাছের পদ পাবেন।