বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বিশ্বের করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর সংবাদমাধ্যম নিয়মিত জানালেও চিনের কী পরিস্থিতি, তা সচরাচর বের হয় না। তবে এবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাল, পূর্ব চিনের নানজিং শহরে মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩১ জনের কোভিড-১৯ ধরা পড়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে একান্ত প্রয়োজন না হলে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বলতে গেলে, গোটা শহর সিল করে দেওয়া হয়েছে। শহরে বাসিন্দার সংখ্যা ৯০ লাখের বেশি। সেখানে সংক্রমণ লাগাতার ছড়াচ্ছে। এপর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করে দেখা গিয়েছে, সেটি দ্রুত ছড়াতে থাকা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। নানজিং সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে ডিং জি জানিয়েছেন, আগেকার সংক্রমণের চরিত্র বিচার করে বলা যায়, ডেল্টা স্ট্রেনের কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে। যেমন এর অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বেড়েছে, দ্রুত ছড়াতে পারে, ভাইরাস লোড অনেক বেশি। এর চিকিত্সায় বেশি সময় লাগছে। এতে অসুখ মারাত্মক দিকে মোড় নেয় দ্রুত।
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে শহরের বিমানবন্দরের কর্মীদের মধ্যে। শহরের নাগরিকদের দু দফায় নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট করতে হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় গণ হারে টেস্টিং করাচ্ছে, হাজার হাজার নাগরিককে লকডাউন করে আটকে রেখেছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
তবে শুধু নানজিং নয়, সেখানকার মতো সংক্রমণের খবর এসেছে অন্ততঃ ৫টি চিনা প্রদেশ, ৯টি শহর থেকে।
নানজিং এককালে ছিল চিনের রাজধানী। প্রায় যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মহামারীর ঝুঁকির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। চারটি এলাকাকে হাই রিস্ক জোন, ২৫টি অঞ্চলকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ জোনে ভাগ করা হয়েছে। সিনেমা হল, জিম, ইন্ডোর সুইমিং পুল, বার, হল, দাবা, ক্যারাম, তাস খেলার ঘর ও অন্যান্য প্রকাশ্য স্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওষুধের দোকান, পাইকারি বাজার, শপিং মল, সুপারমার্কেটে একসঙ্গে কতজন ঢুকতে পারবেন, তার সংখ্যাও বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। সব আবাসিক কেন্দ্রগুলিতে বাইরের লোক, ডেলিভারি ম্যানের প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে। আটটি দূরপাল্লার বাস পরিষেবা, বাসে ট্যুর করার পরিষেবায় বাতিল হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরও।