Home Second Lead তবে কি উদ্দেশ্য দোকান ব্যবসা?

তবে কি উদ্দেশ্য দোকান ব্যবসা?

এখানে হওয়ার কথা কিডস জোন। শূণ্য লোহার খাচায় শিশুরা এভাবে চড়ে ঝুঁকি নিয়ে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: নগরীর ষোলশহর দু’নম্বর গেটে এলাকার বিপ্লব উদ্যানের এখনকার অবস্থা দেখে জনমনে প্রশ্ন -তবে কি নতুন রূপ দেয়ার আড়ালে আসল উদ্দেশ্য ছিল দোকান ব্যবসা?

নতুন রূপে সাজানোর প্রতিশ্রুতিতে বিপ্লব উদ্যান ২০১৮ সালের শেষদিকে তুলে দেয়া হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। নতুন প্রকল্পের নাম দেয়া হয় ‘সোল স্কোয়ার বা প্রাণের স্পন্দন ।’ এ ব্যাপারে চুক্তি হয় রিফর্ম লি. এবং স্টাইল লিডিং আর্কিটেক্টস লি-এর সাথে।

এখানে  ফ্রি ওয়াই-ফাই, ইনফরমেশন ক্যাশ মেশিন, কিডস কর্ণার, ফুড কোর্ট, এটিএম প্লাজা, ট্যুরিস্ট ইন ইত্যাদি হওয়ার কথা। সিটি কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি অনুসারে সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার কথা এক বছরের মধ্যে। কেবল দোকান ছাড়া অন্যসব কাজ অসমাপ্ত রেখে এটা উদ্বোধন করা হয় গত ১৫ ডিসেম্বর।তবে, দোকান মালিকদের কয়েকজন জানালেন, বিক্রি তাদের প্রত্যাশার আশেপাশেও নেই। বিনিয়োগের তুলনায় একেবারে কম। সুযোগ-সুবিধাগুলো চালু না হওয়ায় হতাশাজনক পরিস্থিতি তাদের ব্যবসায়।

সারি সারি দোকান।

আড়াই মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে এরপর। অবস্থাটা কি? সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে দোকান হয়েছে, আরও দোকান হচ্ছে। ফোয়ারা বন্ধ। সেখানে নেই পানি। কিডস কর্ণার চালু হয়নি। শূণ্য পড়ে আছে লোহার খাচা। ফ্রি ওয়াই-ফাই, ইনফরমেশন ক্যাশ মেশিন, এটিএম প্লাজা, ট্যুরিস্ট ইন ইত্যাদির কোন খবর নেই। এখন যে অবস্থা তাতে আদৌ সেগুলো চালু হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সবুজে ভরা  বিপ্লব উদ্যানের ভিতরে থাকা বৃক্ষরাজি উপড়ে ফেলা হয়। এরপরও যেগুলো ছিল সেগুলোর কয়েকটি মরে গেছে, আরও কয়েকটি মরে যাচ্ছে। উত্তর-পূর্ব কোণে গাছপালা কেটে ফেলে সেখানে শৌচাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।

বিপ্লব উদ্যানের তিনদিকে থাকা ফুটপাত ও নালা দখল করে তাও এর অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হয়েছে। ফুটপাত না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পথচারিদের চলাচল করতে হচ্ছে।

বিপ্লব উদ্যানে আগে মানুষের স্বাচ্ছন্দে হাঁটার ব্যবস্থা ছিল। এখন হাঁটা যায়, তবে স্বাচ্ছন্দে নয়। প্রতি কদমে বিপত্তি।