বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনকে দুটি আসন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে তরীকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন ‘জোটের শরিকদের সাতটি আসনে নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এটাই চূড়ান্ত নয়। আমরা জানি, আমরা আছি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ওই দুটি আসনই দেন।’
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৪-দলীয় জোটের জোটবদ্ধ নির্বাচন, সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতসহ বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা’ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তরীকত ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ আবু দাউদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আলী ফারুকী, বাকী বিল্লাহ মিশকাত ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
নজিবুল বশর বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর জোটের সবার সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে তরীকত ফেডারেশনকে অন্তত দুটি আসন দেওয়ার কথা হয়। সভায় তাৎক্ষণিক ১৪ দলীয় জোটের রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশা, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও আমার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।’
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর আসনে তার ভাতিজা ও নতুন নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারীও প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে সাইফুদ্দিন আহমদকে ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নজিবুল বশর বলেন, ‘সুপ্রিম পার্টির বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু কিছু বলেননি। আওয়ামী লীগের অন্যান্য সূত্র এটি বলতে পারে। সবাই তাকে পছন্দ করবেন না।’ সুপ্রিম পার্টিকে ছাড় দেওয়া হলে সেটি রাজনীতির জন্য ‘ভয়ঙ্কর বার্তা’ হবে বলে মন্তব্য করেন নজিবুল বশর।
তিনি বলেন, ‘জোটের মনোনয়ন যে কাউকে দিতে পারে, অসুবিধা নেই। রাজনীতির বিবেক কোথায় যাবে? এটি রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত। তিন মাস আগে নিবন্ধন পেয়ে যদি মূল্যায়িত হয়, তাহলে আমাদের মূল্যায়ন কী হবে?’
আসন নিয়ে শরিকদের অসন্তুষ্টি জোটে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নজিবুল বশর বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভালো নয়। বিএনপি জামায়াতসহ একটি বড় অংশ বাইরে। তারা নাশকতাসহ আন্দোলন করে যাচ্ছে। বিদেশি মহল সরব ছিল, এখন চুপচাপ হয়ে গেছে। চুপচাপ থাকা ভালো লক্ষণ নয়। সবকিছু মিলিয়ে মনে করি, জোটের বিকল্প নেই। আদর্শিক জোট ছিল, আছে ও থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেব।’