বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকাঃ হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি, স্টার্টআপ ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কোরিয়ান ইপিজেডের অফিস ভবনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা জাবিন ও কোরিয়ান ইপিজেডের পক্ষে চেয়ারম্যান এবং সিইও কিহাক সাং সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান ও এন এম জিয়াউল আলম, সিনিয়র সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং চেয়ারম্যান স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।
সমঝোতার আওতায় কোরিয়ান ইপিজেড কর্তৃক প্রায় ১০০ একর জায়গায় প্রস্তাবিত হাইটেক পার্ককে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বেসরকারি হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করে।
এছাড়া বিনিয়োগে নীতিগত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি যৌথভাবে কাজ করবে কোরিয়ান ইপিজেডে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। জোন স্পেশালাইজড ল্যাব স্থাপনে সহায়তা ছাড়াও সমঝোতার আওতায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশি ও কোরিয়ান স্টার্টআপদের প্রশিক্ষণ, বৈদেশিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণা ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে যৌথভাবে কাজ করবে কোরিয়ান ইপিজেডের সাথে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধিতে ডিজিটাল উদ্যেক্তা তৈরি করবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। আমরা চাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম চাকরি খোঁজার পরিবর্তে চাকরি সৃষ্টির প্রতি অধিক মনোযোগী হোক। এই সমঝোতার মাধ্যমে কোরিয়ান ইপিজেডে বিনিয়োগ আরো ত্বরান্বিত হবে। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে স্টার্টআপদের জন্য স্কেল-আপ প্রোগ্রাম ও মেন্টরিং করা হবে।
তিনি আরোও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।