Home First Lead অনাবৃষ্টি আর তাপদাহ: পুড়ছে ফসলের ক্ষেত

অনাবৃষ্টি আর তাপদাহ: পুড়ছে ফসলের ক্ষেত

অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে বাদাম, মরিচ, মুগডালসহ শত শত হেক্টর রবি ফসলের ক্ষেত। ছবি : বাসস

পটুয়াখালী: জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টি না থাকায় প্রচণ্ড খরায় পুড়ছে রবি ফসলের ক্ষেত। অতিরিক্ত তাপদাহের কারনে শুকিয়ে যাচ্ছে বাদাম, মরিচ, মুগডালসহ শত শত হেক্টর রবি ফসলের ক্ষেত। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ যেন কেড়ে নিয়েছে এখানকার কৃষকের মুখের হাসি।

বাউফল উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৩৪ হাজার ৯৩৯ হেক্টর জমিতে নানা জাতের রবি ফসল আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৮৮৫ হেক্টরে মুগ ডাল, ১৫০হেক্টরে মরিচ, ১হাজার ৬০ হেক্টরে ফেলন ডাল, ৫০ হেক্টরে মসুর ডাল, ১০ হেক্টরে ছোলা ডাল, চিনা বাদাম ১৩শ ৫০ হেক্টর চাষ হয়েছে।

কিন্তু পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়; কৃষকের কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অনাবৃষ্টি আর তাপদাহ। মৌসুমের শুরু থেকেই তেমন কোন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড তাপদাহে রবি ফসলের ক্ষেত ঝলসে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।

শুধু বাউফল নয়, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, দশমিনা ও দুমকির কৃষকদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- চিনা বাদাম, মুগডাল, ফেলন, মসুর ডাল ও মরিচ ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তাপদাহে অনেক ক্ষেতের ফসল ঝলসেও গেছে। পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হতে পারছে না।

কনকদিয়ার নুরাইনপাশা গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ‘১৮ শতাংশ জমিতে মুগডাল চাষ করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে তা ঝলসে গেছে। পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে যে টাকা ক্ষেতে খাটিয়েছি তা উঠবে কিনা সন্দেহে আছি।’

মদনপুরার দ্বীপাশা গ্রামের করিম হাওলাদার নামের এক কৃষক বলেন, ‘রোদের তাপে রবি ফসলের ক্ষেত ঝলসে গেছে এবং মাটি চৌচির হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছি। জানিনা কপালে কি আছে। ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে ফেলন ডালের পাতা গুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বাসসকে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.রেদোয়ান হোসেন বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারনে প্রচণ্ড তাপদাহে মাটির নিচে জমা পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে এমনটি হয়েছে।  তবে এখনই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখনো সময় আছে, যদি বৃষ্টি হয় তাহলে গাছ গুলো প্রাণ ফিরে পাবে।ফলে পর্যাপ্ত ফসলও পাবে কৃষকরা।

-সূত্র বাসস