Home First Lead তারকা হোটেল বেস্টওয়েস্টার্ন ভয়াবহ সংকটে

তারকা হোটেল বেস্টওয়েস্টার্ন ভয়াবহ সংকটে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: তারকা হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন যাত্রা শুরু হতে না হতেই ভয়াবহ আর্থিক সংকটে। অচলাবস্থার মধ্যে এখন বেচে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
নগরীর অভিজাত বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে সেনাকল্যাণ ট্রেড সেন্টারে চালু করা হয় চেইন চার তারকা হোটেলটি। আন্তর্জাতিক চেইন হসপিটালিটি গ্রুপ বেস্ট ওয়েস্টার্ন-এর চট্টগ্রামে কার্যক্রম শুরু হয় এর মধ্যে দিয়ে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে লোগো উন্মোচনের মধ্য দিয়ে সফট ওপেনিং হয় চেইন হোটেলটির।

লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান মাত্র ৫ মাস আগে

জানানো হয় যে বেস্ট ওয়েস্টার্ন অ্যালায়েন্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড বন্দর নগরীতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একমাত্র চার তারকা মানের হোটেল।লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্টিক্ট ৩১৫-বি৪ এর সাবেক গভর্নর শাহ আলম বাবুল এর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হোটেলের ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৩৮ জন পরিচালক। শুরুটা ভাল থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে পরিচালকদের মধ্যে দেখা দেয়া নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ। এ অবস্থার মধ্যে আরম্ভ হয় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিস্তার রোধে দেশজুড়ে লকডাউন। ভয়াবহ সংকটে পড়ে যায় এর ব্যবস্থাপনা। কর্মিদের নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধও সম্ভব হয়নি। অচলাবস্থার মধ্যে লে অফ ঘোষণা করা হয় মে থেকে। কর্মিরা তাতে চরম দুরবস্থায় পড়েন। এদের কেউ অর্ধেক বা নামেমাত্র কিছু টাকা পেয়েছেন, অনেকে পাননি।

মামুন উর রহমান

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উর রহমান বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিমাসে বেতন ভাতা আসে প্রায় ২২ লাখ টাকার মত। এছাড়া রয়েছে ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি। অর্থ সংকট নিরসনের জন্য পরিচালকদের সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছিল। দু’লাখ টাকা করে দেয়ার জন্য জানানো হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান এবং ৪ জন পরিচালক ছাড়া আর কেউ সাড়া দেননি। এমন কি দফায় দফায় টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। ফলে পরিস্থিতি কি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্র্রায় ৪/৫ মাসের বেতন না পেয়ে বিক্ষুব্ধ কর্মিরা গত রবিবার হোটেলের সামনে গিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেন। এক পর্যায়ে তারা হোটেল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে, পুলিশের হস্তক্ষেপে তালা খোলা হয়। কর্মিরা জানান, তারা বিগত কয়েক মাসে অনেকবার বেতনের জন্য ধরনা দিয়েছেন। নানা সমস্যার কথা বলে তাদেরকে ফেরানো হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, হোটেল যে আর্থিক সংকটে পড়ে গেছে তাতে পরিচালকদের অনেকে একেবারে বিমুখ। তাই বেচে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর জন্য বিনিয়োগকারী সন্ধান করা হচ্ছে বলে জানালেন একাধিক পরিচালক। তবে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উর রহমান এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।