Home আন্তর্জাতিক ‘তিনি অমর’, ম্যারাডোনা বিদায়ে বার্তা মেসির

‘তিনি অমর’, ম্যারাডোনা বিদায়ে বার্তা মেসির

বর্তমান প্রজন্মের ধ্রুবতারা ওই দুইজন। যাঁদের খেলা দেখে নয়া প্রজন্ম খোঁজে দিয়েগোম্যারাডোনাকে।
সেই লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে খুবই ভালবাসতেন মারাদোনা। যখনই তাঁদের সঙ্গে দেখা হতো পিতৃ স্নেহে জড়িয়ে ধরতেন দুই মহারথীকে।

একজনের সঙ্গে সমানে আলোচনা চলত, কে বড়, ম্যারাডোনা না মেসি? সেই লিওনেল মেসি শোক সংবাদ শোনার পরে সোশ্যাল সাইটে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, লিখেছেন, ‘‘সকল আর্জেন্টাইন ও সমগ্র বিশ্বের সবার জন্য কষ্টের একটি দিন। তিনি আমাদের ছেড়ে গেছেন কিন্তু একেবারে চলে যাননি। দিয়েগো ম্যারাডোনা অমর। আমি তাঁর সঙ্গে কাটানো সকল সুন্দর মুহূর্ত নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। তার পরিবার ও কাছের বন্ধুদের জন্য আমার সহমর্মিতা। শান্তিতে থাকুন আপনি।’’

আবার তিনিও অন্যদের মতো গুণমুগ্ধ ছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনার। যখনই দেখা হতো তাঁদের সঙ্গে, একটি ছবি তুলতেনই।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না কিভাবে কী হয়ে গেল। তিনি একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেন, সেই কথাও তিনি একবার বলেছিলেন। সেই রোনাল্ডোও ব্যথিত কিংবদন্তির প্রতি।

টুইট করে পর্তুগিজ সুপারস্টার বলেছেন, ‘‘আজ আমি বিদায় জানাচ্ছি এক বন্ধুকে এবং সারা বিশ্ব বিদায় জানাচ্ছে এক চিরন্তন প্রতিভাকে। সর্বকালের সেরাদের অন্যতম একজন। একজন অতুলনীয় ম্যাজিশিয়ান। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। তবে রেখে গেলেন তাঁর সীমাহীন, অবিস্মরণীয সব কীর্তি এবং সীমাহীন শূন্যস্থান, যা কোনওদিন পূরণ করা সম্ভব নয়। চিরশান্তিতে থাকুন, আপনাকে কখনই ভুলতে পারব না।’’

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের ৮ দিন পরে তাঁকে বুয়েনস আয়ারসের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হয় এক ক্লিনিকে। সেখানে তাঁর অ্যালকোহল আসক্তি দূর করার চিকিৎসা চলছিল। প্রসঙ্গত, খেলা ছাড়ার পর দু’বার কলকাতা এসেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। তাঁকে ঘিরে অভাবনীয় উচ্ছ্বাস, অভূতপূর্ব আবেগে ভেসে গিয়েছিল কল্লোলিনী কলকাতা।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছিলেন৷ নিজের গগনচুম্বী কেরিয়ারের যেটা একটা মাইলফলক৷ তিনি ক্লাব হিসেব বোকা জুনিয়র্স, নাপোলি, বার্সেলোনার হয়ে নিজের সোনার সময় কাটিয়েছেন। তিনি গোল করেছেন, গোল করিয়েছেন, তাঁর বিখ্যাত ‘‘হ্যান্ড অব গড’’ ম্যারাডোনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখবে।