বিজনেসটুুড২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নারীকে বিবস্ত্র এবং ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তকারী দল।
শনিবার (১০ অক্টোবর) তদন্তকারী দলকে ঘটনাস্থলে যাতায়াতের রাস্তা ও ঘটনাস্থল শনাক্ত করে দেখায় নুর হোসেন ওরফে বাদল, মাঈন উদ্দিন ওরফে সাজু ও আবুল কালাম।
দুই মামলাতে এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। নারী নির্যাতন মামলায় আসামি আবদুর রহিম, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহাগ (২১) ও নুর হোসেন ওরফে রাসেলের (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পিবিআই সূত্র জানায়, শুক্রবার ( ৯ অক্টোবর ) বেগমগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছ থেকে পিবিআই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতন এবং ভিডিওচিত্র ভাইরালের মামলা দুটির কাগজপত্র বুঝে নেয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর এলাকার দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা।
বিবস্ত্র করে নারীর ভিডিওচিত্র ধারণ করে নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় ধারণকৃত ভিডিও ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনাটি জানাজানি হলে দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় পুলিশ একটি বাসা থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে।
পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, দুটি মামলার মধ্যে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই পরিদর্শক মামুনুর রশীদ পাটোয়ারী এবং পিটিআইয়ের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান তদন্ত করছেন।