Home Third Lead তিমির পেটে পাক্কা ৩০ সেকেন্ড!

তিমির পেটে পাক্কা ৩০ সেকেন্ড!

কার্টুনের চেনা দৃশ্য। রূপকথাতেও একেবারে ব্রাত্য নয়। কিন্তু বাস্তবে! একেবারেই অবিশ্বাস্য।

তবে এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছে। আস্ত এক তিমির পেটে গিয়েও জীবন নিয়ে ফিরেছেন এক ব্যক্তি। মিরাকল ছাড়া আর কী বলা যায় একে?

ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের এক দ্বীপে। ৫৬ বছরের মাইকেল প্যাকার্ড পেশায় মৎস্যজীবী। ডুবুরির কাজেও পারদর্শিতা রয়েছে তাঁর। মাছ ধরতেই রোজকার মতো সমুদ্রে গিয়েছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল গভীর জলে নেমে বড় গলদা চিংড়ি ফাঁদে ফেলবেন। কিন্তু সেখানেই ঘটে বিপত্তি।

বিশালাকায় এক তিমি এসে গিলে নেয় প্যাকার্ডকে। তবে ৩০ সেকেন্ডের বেশি তাঁকে ধরে রাখতে পারেনি প্রাণীটি। আস্ত একটা মানুষকে মুখের ভিতর নিয়ে বিপাকে পড়ে সে। পর মুহূর্তেই উগরে বাইরে বের করে দেয় প্যাকার্ডকে। নতুন জীবন ফিরে পান তিনি।

নিজের ভাগ্যকে নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না মাইকেল প্যাকার্ড। তিনি বলেন, সমুদ্রে গিয়ে জলের নীচে হঠাৎই বিশাল ঝাঁকুনি অনুভব করেন তিনি। ভাল করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়।

যেখানে তিনি গিয়েছিলেন সেখানে নাকি হাঙরের আনাগোনা প্রচুর। তাই প্রথম উপলব্ধিতে প্যাকার্ড ভেবেছিলেন হাঙরের পেটেই গিয়েছেন তিনি। মৃত্যু আর ঠেকানো যাবে না। কিন্তু তারপরেই ফের জলে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

প্যাকার্ড একা ছিলেন না। এক সঙ্গীকে নিয়েই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। তিমির পেট থেকে বেরোনোর পর সাঁতরে তাঁর কাছেই পৌঁছে যান প্যাকার্ড। গায়ে হাত পায়ে ব্যথা নিয়েই কোনওরকমে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর সঙ্গী। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে।

উল্লেখ্য, গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা ছাড়া আর তেমন কোনও সমস্যা হয়নি প্যাকার্ডের। একেবারেই অক্ষত আছেন তিনি। সমুদ্রের ৪৫ ফুট নীচে এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি করেছেন প্যাকার্ড।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন তিনি। এমন রোমহর্ষক ঘটনা শুনে তাজ্জব নেটিজেনরাও। -দি ওয়াল