বিজনেসটুডে২৪ সংবাদদাতা
কুড়িগ্রাম: কয়েক দিনের টানা ভারীবর্ষণে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় উলিপুরের চরাঞ্চলে আবাদ করা প্রায় ৩৫ হেক্টর জমির বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
তিস্তা নদী অববাহিকার থেতরাই, গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে বাদাম চাষাবাদ করা শতাধিক কৃষক বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের জেগে ওঠা চরাঞ্চলগুলোতে চলতি মৌসুমে প্রায় ৪১১ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮ শত ২২ মেট্রিক টন। অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের নিবিড় পরিচর্যার কারণে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিন্ত কয়েক দিনের টানা ভারীবর্ষণে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বজরা ইউনিয়নের ১০ হেক্টর, থেতরাই ৫ হেক্টর ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের ২০ হেক্টর জমির বাদাম ক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে প্রায় ৫২ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর চরে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাদাম ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার কিছু বাদাম ক্ষেত আংশিক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে বাদামের গাছগুলো পচে মরে যাচ্ছে। বাদামচাষি বদরুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ৫০ শতক জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছিল। হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া পুরো ক্ষেত তলিয়ে গেছে। চাষাবাদ করতে যে টাকা খরচ হয়েছে, এখন সে টাকাও আর উঠবে না।
কৃষক হামিদুল ইলাম জানান, প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ করে ৩৫ শতক জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় সব শেষ হয়ে গেল। একই পরিস্থিতি গুনাইগাছ ইউনিয়নের তিস্তার চরে চাষাবাদ করা বাদাম ক্ষেতগুলোও। ওই ইউনিয়নের কৃষক কাজিম উদ্দিন জানান, প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে দেড় একর জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছিল, পানিতে ডুবে যাওয়ায় সব শেষ হয়ে গেল।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনা আসলে কৃষকদের দেয়া হবে।