বিজনেসটুডে২৪ সংবাদদাতা
কুড়িগ্রাম: উলিপুরে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ৩০ জন সুবিধা বঞ্চিতদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা উৎঘাটন করা হবে। তবে তদন্ত ছাড়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজনের মাঝে ৫ মেট্রিক টন চাল ও আলু বরাদ্দ দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার (১২ এপ্রিল) ইউপি সদস্য আবু বক্কর খান চর বতুয়াতলি গ্রামের কর্মহীন লোকজনের মাঝে ত্রাণের স্লিপ বিতরণ করেন। পরে চাল দেয়ার কথা বলে স্লিপ সহ ওই ইউনিয়নের মোল্লারহাট ঘাটে তাদেরকে ডাকেন। তবে এসব কর্মহীন প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল ও ২ কেজি আলু দেয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন ওই দিন রাত এগারটার দিকে পরিকল্পিতভাবে মোল্লারহাট ঘাটে তার ছোট ভাই মাইদুল ইসলামকে দিয়ে ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ৫ কেজি ও ২ কেজি আলুর পরিবর্তে ১ কেজি বিতরণ করেন।
এতে তালিকাভূক্ত সুবিধাভোগি লোকজন আপত্তি জানালে চেয়ারম্যানের ভাই মাইদুল ইসলাম ১০ কেজি চাল দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় মাইদুল ইসলাম তাদেরকে ত্রাণ না দিয়ে বিদায় করেন। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে গত মঙ্গলবার ৩০ জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে অভিযোগ দেয়ার পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন প্রতিকার না পাওয়ায় কর্মহীন এসব অসহায় লোকজনের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আবু বক্কর খান স্লিপ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, লোক সংখ্যা বেশি হওয়ায় চেয়ারম্যানের ভাই রাগ হয়ে তাদেরকে ৫/৭ কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু তারা নেননি। তবে পরবর্তী বরাদ্দে তাদেরকে চাল দিতে চেয়েছি।
বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে যা বরাদ্দ পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। মেম্বার তাদেরকে স্লিপ দিয়েছে, সেটা মেম্বারের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম বলেন, রাতে বিতরণ করায় আমি সেখানে থাকতে পারিনি, তবে চাল কম দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।