বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দফায় দফায় লকডাউনের মধ্যেও থেমে নেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। দক্ষ প্রকৌশলীদের নেতৃত্বে রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কয়েক শত শ্রমিক।
মূল টার্মিনালে ৩০৪৯টি পিলার দাঁড়িয়ে। সব ঠিক থাকলে অত্যাধুনিক এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুন নাগাদ।
দুবাইয়ের বুর্জখলিফা, কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার কিংবা সিংগাপুরের চাংগি বিমান বন্দর, দর্শনীয় এসব স্থপনা যারা নির্মাণ করেছে তাদের হাত ধরেই দৃশ্যমান হচ্ছে শাহজালাল বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, থার্ড টার্মিনাল দেশের অন্যতম অগ্রাধিকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে। বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হবে শাহজালাল। যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে। পাশাপাশি এই বিমানবন্দর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দুই লাখ ত্রিশ হাজার বর্গফুটের এই টার্মিনালে থাকবে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। নতুন এই টার্মিনালের এক সঙ্গে ৩৭ টি উড়োজাহাজের জন্য এপ্রোন বা প্লেন পার্কের জায়গা থাকছে। আর ভেতরে থাকবে বোর্ডিং ব্রিজ, ১১ টি বডি স্ক্যানার , ১৬ টি লাগেজ বেল্ট। এছাড়াও থাকবে স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন সিস্টেম।
জানা যায়, বর্তমানে দুটি টার্মিনালে বছরে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৬৫-৭০ লাখ। ৩য় টার্মিনাল চালু হলে এর সংখ্যা হবে দ্বিগুণ। তিনটি টার্মিনাল মিলে বছরে প্রায় দুইকোটি যাত্রী সেবা পাবে। গেলো বছর শুরু থেকে দফায় দফায় লকডাউন এবং একের পর এক শক্তিশালী বোমা উদ্ধারের পরেও কাজের গতি সচল আছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান বলেন, সব কিছু কীভাবে – অটোমেটেড সিস্টেমের ভিতরে আসা যায় সেই ভাবেই কাজ চলছে। সব কিছুই আমরা আধুনিকায়ন ও কম্পিউটারাইজড করার চেষ্টা করছি। চেকিং থেকে শুরু করে ডিপার্চার, লাগেজ বেল্ট পর্যন্ত যেসব কাজগুলো আছে সবগুলোই আধুনিকায়নের মধ্যে আসবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।