Home First Lead জেজু এয়ারের বিমান বিধ্বস্ত, ৬৭ জনের মৃত্যু

জেজু এয়ারের বিমান বিধ্বস্ত, ৬৭ জনের মৃত্যু

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: কাজাখস্তানের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা।  ১৮১ জনকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান মুয়ান বিমানবন্দরে ভেঙে পড়েছে বিমান।

দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু ছিলেন।

পূর্ববর্তী সংবাদ:  মাটি ছোঁয়ার ঠিক আগে রানওয়ের উপরেই বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়। এপি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার সংস্থার বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে মুয়ান শহরে আসছিল রবিবার। মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের আগুন নেভানো হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি এবং ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মুয়ান বিমানবন্দরের আকাশ ঢেকেছে কালো ধোঁয়ায়।

দুর্ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ২৮ জনের মৃত্যুর খবর জানালেও সেখানকার দমকল বাহিনী এখনও মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি।

কী ভাবে দুর্ঘটনা? দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি বিভাগ তার কারণ খতিয়ে দেখছে। তবে মনে করা হচ্ছে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে রানওয়ের উপরে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি পাইলট। বিমানে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছ’জন বিমানকর্মী ছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু ছিলেন।
আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে গত ২৫ ডিসেম্বর ভেঙে পড়ে কাজ়াখস্তানের উপর। জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। কিন্তু বিমান তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। ওই বিমানে ৬৭ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৯ জনকে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। চলতি মাসের গোড়ায় দেশে সামরিক (মার্শাল) আইন কার্যকরের সুপারিশ করে বিতর্কে জড়ান সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল। পার্লামেন্টের এমপিরা তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানোর প্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) শুরু করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হান ডাক-সু-কে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এক মাসেরও কম সময়ে পর পর তিন বার প্রেসিডেন্ট বদল হয়েছে। শুক্রবারই সে দেশের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন চোই সাং-মোক। প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্ধারকাজকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি।