বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাণিজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাংকিউনের (Lee Jangkeun) সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
টিপু মুনশি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাদের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার, এ বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এতে করে উভয় দেশ লাভবান হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমেরও অংশীদার দক্ষিণ কোরিয়া। তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি নির্মাণ কাজেও তারা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশ উদ্যোগ নিলে এ সুযোগকে কাজে লাগানো সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে রফতানি বাড়বে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানি বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে।
এসময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র এবং ব্যবসায়ীক বড় অংশীদার। বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক ব্যবসা ও বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া চট্টগ্রামে কেইপিজেড বাস্তবায়ন করছে, এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে।
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রশংসা করে লি জাংকিউন বলেন, পরিস্থিতি মোবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৭০ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে এক হাজার ৩১৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।