বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কলকাতা : যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্বাভাবিক করা হয়েছে বিমান বন্দর। জরুরি বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বিমানের।
ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবের পরে মনে হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লাগবে। কিন্তু বিপর্যয় কাটিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই চালু হয় বিমান। দুপুর আড়াইটা নাগাদ নামে একটি রাশিয়ান বিমান। এরপর দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যায় একটি কার্গো। কিন্তু তখনও বিমানবন্দরের অনেক অংশ পানির নিচে।
জমে থাকা পানি পাম্প চালিয়ে বের করা হয়েছে। রানওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। বিধংসী সাইক্লোনের পর বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গিয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর পানিতে থইথই করছে। ভেঙে পড়েছে ছাউনি। খোদ বিমানবন্দরের মধ্যে এমন ছবি-ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছিল রাজ্যবাসী।
যদিও ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে থাকা একাধিক বিমান অন্য শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলে কোনও বিমানের কিছু হয়নি। তবে যে বিমানগুলি ছিল সেগুলিকে প্রবল হাওয়াতে টলতে দেখে রীতিমত ঘুম উড়ে গিয়েছিল অনেকেরও। এর উপর ছিল কাচের ভয়ঙ্কর আওয়াজ। এক কর্মীর কথা অনুযায়ী, যেভাবে কাচগুলি আওয়াজ করছিল তাতে মনে হচ্ছিল যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে।
এয়ার ইন্ডিয়ার হ্যাঙার, অর্থাৎ যেখানে বিমান রাখা হয়, সেটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সিএমডি রাজীব বনসল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের দুটি প্লেন ছিল বিমানবন্দরে। সেগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে একটি বেসরকারি প্লেন ছিল তাদের হ্যাঙারে পার্ক করা, তার অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যদিকে আজ সকালে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমানের।
করোনা লকাউনের শুরুতেই বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
অবশেষে ২৫ মে থেকে বিমান চালানোর কথা জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ১০.৪৫ মিনিটে অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রীর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। তারপর তাঁর গন্তব্য বসিরহাট। দমদম বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১১.২০ মিনিটে বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা । সেই প্রশাসনিক বৈঠক সেরেই কলকাতায় ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
সেখান থেকে ওডিশার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সুপার সাইক্লোন ওডিশাতেও আছড়ে পড়েছে। সেখানে এতটা তীব্রতা ছিল না। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে রাজ্যেও। ওডিশাতে চলে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।