বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
গুরুতর অসুস্থ আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। করাচির হাসপাতালে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত দুই দিন ধরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তিনি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে বিষ প্রয়োগের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়েই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম। যদিও এই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। দাউদ সম্পর্কে নানান খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে এবং নানা রকম জল্পনা চলছে।
তিনি ভর্তি আইসিইউতে। শুধু পুলিশ, হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের ও পরিবারের লোকদেরই হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকি কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
দাউদ ইব্রাহিম বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনি। তিনি মাদক পাচার, অর্থ পাচার, তোলাবাজি এবং অস্ত্র চোরাচালানের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলেও মনে করা হয়।
পাকিস্তান অস্বীকার করলেও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বার বার দাবি করে এসেছে যে ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিম দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে থাকে। করাচিতেই ক্লিফটন এলাকার যে বাংলোয় তিনি থাকেন, তা ঘিরে রেখেছে আইএসআই এজেন্ট ও পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা। সব মিলিয়ে করাচিতে দাউদের দশটা বাড়ি। ইসালামাবাদেও বাড়ি রয়েছে গোটা তিনেক। যার মধ্যে রয়েছে আইএসআই-এর একটি ‘সেফ হাউস’-ও।
উইকিপিডিয়ার তথ্যে জানা যায়, দাউদ ইব্রাহিম কাসকার, (জন্মঃ ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৫৫) দাউদ ইব্রাহিম নামেই বেশি পরিচিত যিনি ভারতের মুম্বাই এর সংগঠিত অপরাধ চক্রের প্রধান। তার সিন্ডিকেটের নাম হলো ডি কম্পানি। তিনি সংগঠিত অপরাধের জন্য ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় এবং মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর বিশ্বের শীর্ষ পলাতক অপরাধীদের ২০১১ এর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ২০০৮ সালেও তিনি ফোর্বস-এর তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন। এছাড়া ভারতীয় পুলিশের পলাতক অপরাধীদের তালিকায়ও তার নাম শীর্ষে।
দাউদ ইব্রাহিমের দলে প্রায় ৫ হাজার সদস্য রয়েছে যারা মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে খুন, অপহরণ এর মত কাজ করে থাকে। ছোটা শাকিলকে দাউদ ইব্রাহিম এর ডান হাত হিসেবে ধরা হয়। তাদের কর্মক্ষেত্র ভারত, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব অমিরাত।
১৯৯৩ সালে ১২ মার্চ মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে এক সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে ৩১৫ জন (সরকারি হিসেবে ২৫৭ জন) লোক নিহত হয়। এর জন্যও দাউদ ইব্রাহিমকে অভিযুক্ত করা হয়। ২১ মার্চ ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান সুপ্রীম কোর্ট এক নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে এই বোমা হামলায় দাউদ ইব্রাহিম সরাসরি জরিত ও তিনি পাকিস্তানে আত্মোগোপন করে আছেন যাদিও পাকিস্তান সরকার ভারতের এই দাবি বারবার অস্বীকার করে আসছে।