লাইলাক শহীদ
ব্রিসবেন ( অস্ট্রেলিয়া ) থেকে
বুশ ফায়ার অস্ট্রেলিয়ায় নতুন নয়, তবে এবারের মতো এত ব্যাপক আকারে আগে কখনও দেখা যায়নি। বুশ ফায়ারের অনেক কারণ থাকলেও উচ্চ তাপমাত্রা, ক্ষরা, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং জোরে বহমান বাতাস দায়ী। ২০১৯ এ ডিসেম্বরে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রী । আজ শনিবার ৪ঠা জানুয়ারী ২০২০ বিকেল চারটায় সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে উত্তপ্ত স্থান ছিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি । তাপমাত্রা স্কেলে ছিল ৪৮.৯ ডিগ্রী ।
বুশফায়ার চলছে সিডনি, মেলবর্ন, ক্যানবেরা, সহ প্রায় সবখানেই । এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ১৮ জন মৃত, ১২০০ উপর বাসাবাড়ী স্থাপনা ধংব্স হয়েছে , ১৩.৫ মিলিয়ন হেকটর ল্যান্ড এরিয়া এবং সংলগ্ন স্থাপনা পুড়েছে। ৫০ কোটি বা হাফ এ বিলিয়ন ওয়াইল্ড লাইফ পুড়ে মারা গেছে এবং অনেক স্পেসিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লুপ্ত হয়ে যাবার পথে । ইতিমধ্যে সিডনির এক তৃতীয়াংশ কোয়ালার মৃত্যু হয়েছে ।
স্বেচ্ছাসেবক নির্ভর ফায়ার ফাইটাররা জীবন দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে । ১৮ জন মৃতের মধ্যে রয়েছে কয়েকজন ফায়ার ফাইটারও । কথা উঠেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পুরাপুরি ব্যর্থ হয়েছেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় । অস্ট্রেলিয়ার মত দেশে আগুনে পুড়ে ১৮ জনের মৃত্যু অনেক বড় ব্যাপার ! প্রধানমন্ত্রী আজ সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠে নামিয়েছেন । সিডনি সহ অনেক জায়গায় জরুরী আইন ঘোষনা করা হয়েছে ।
আজ বিকেলে ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জরুরী অবস্থা মোকাবিলায় সাতজন বাংলাদেশী অরিজিন ডাক্তারদের টেলিফোন নাম্বারসহ হেল্প লাইন চালু করেছে ।