মো. আজিজার রহমান, দিনাজপুর;
কাঠফাঁটা রোদের গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রোদে পুড়ছে প্রকৃতি, বইছে তাপপ্রবাহ, স্বস্তি নেই কোথাও। জনজীবনে কাহিল অবস্থা। দুপুরের রোদে খোলা আকাশের নিচে হাঁটলে গরম বাতাসের হলকায় মুখমন্ডল পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। শরীর ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে ঘামে। সূর্য এতটাই তেঁতে উঠেছে যে, বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুন্ড। এমন পরিস্থিতিতে দিনাজপুর বোচাগঞ্জের বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত ইস্তেখার নামাজ আদায় করেছেন, শতাধিক মুসল্লি। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন মুসল্লিরা।
আজ (১৬ জুলাই) শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সেতাবগঞ্জ পৌর ঈদগাঁ মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তেখার নামাজ আদায় শেষে মোনাজত করা হয়। উক্ত ইস্তেখার নামাজে ইমামতি করেন, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক প্রভাষক আবু তাহের সিদ্দিকী দুই রাকাত ইস্তেখার নামাজ আদায় শেষে মহান রাব্বুল আল আমিনের দরবারে বৃষ্টির জন্য মোনাজত করা হয়।
এ সময় সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আসলামসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নামাজ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
নামাজে অংশগ্রহণ করা মুসল্লিরস বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে চারদিক থৈ-থৈ করে এ বছর সম্পূর্ণ বিপরীত বর্ষা কালের আষাঢ় মাস শেষ তবুও তেমন বৃষ্টি নেই। তাই আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করেছি। আল্লাহ যেন এই পরিস্থিতির অবসান ঘটান।
নামাজের ইমাম আবু তাহের সিদ্দিকী বলেন, বৃষ্টির জন্য আমরা একত্রিত হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। বিশেষ মোনাজাতের অংশগ্রহণ করেন উপস্থিত মুসল্লিরা এখানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের দেশের মানুষের জন্য দোয়া করা হয়েছে আল্লাহ আমাদের এই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে প্রশান্তিময় বাংলাদেশ গড়ে উঠে এমন প্রত্যাশা মোনাজাতে করা হয়েছে।