বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
নাসা আগেই বলেছিল তারা আসতে পারে। এসেও গেছে। দুই বিশাল গ্রহাণু তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। শনিবার ২০ তারিখেই পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসবে। এখন টক্কর লাগবে নাকি পৃথিবীর কোল ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।সবচেয়ে বড় ও ভারী যে গ্রহাণু তার নাম ২০০৪ ইউই । নাসা জানাচ্ছে, পৃথিবীর থেকে এখন প্রায় ২৬ লাখ কিলোমিটার দূরে আছে এই গ্রহাণু। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে দূরত্ব কমছে। বেগ বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। ২০ তারিখে দূরত্ব আরও কমবে।
২০০৪ ইউই এই গ্রহাণু লম্বায় যেমন বিশাল, চওড়াতেও তেমন বেশি। দৈর্ঘ্য ১০০০ ফুটের কাছাকাছি, চওড়ায় ৪৬০ ফুট। প্রতি সেকেন্ডে ৬.৫৮ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে আসছে ৪৬৬০ নেরেউস। এটি প্রায় ৩৩০ মিটার লম্বা। তবে এই গ্রহাণু এখনও কিছুটা পিছিয়ে। ডিসেম্বর নাগাদ পৃথিবীর কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা আছে।
তাদের মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট’ । এদের আসার বিরাম নেই। গত বছর ধরে দফায় দফায় গ্রহাণু, ধূমকেতুরা পৃথিবীর আশপাশে ঘুরে গেছে। কেউ একেবারে কোল ঘেঁষে আবার কেউ একটু তফাৎ রেখে দূর দিয়ে। শেষ যে গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল সে ১৩ হাজার মাইল উপর দিয়ে উড়ে গেছে।
এরপরেই এই নতুন গ্রহাণু আগমনের কথা শুনিয়েছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। গত মার্চেই পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে চলে গিয়েছিল অ্যাপোফিস গ্রহাণু। অ্যাপোফিস আকারে আয়তনে ছিল ১০০০ ফুট (৩০০ মিটার) । একে বলা হয়েছিল নিয়ার-আর্থ অ্যাস্টরয়েড।
গত বছর অক্টোবরে আমেরিকান স্পেস সেন্টারের নিয়ার আর্থ অবজেক্ট মিশনে ধরা দিয়েছিল গ্রহাণু ২০২০ আরকে২। আকারে আয়তনে বোয়িং-৭৪৭ বিমানের মতো। ভরও বেশি, পরিধি ১১৮ থেকে ২৬৫ ফুট।
পৃথিবীর উপর দিয়ে এর আগে উড়ে গেছে ছোটখাটো গাড়ির আকারের একটি গ্রহাণু। নাম ২০২০ কিউজি (2020 QG) । দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের উপর দিয়ে একেবারে কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছিল ওই গ্রহাণু। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে হালকা সংঘাতের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল, তবে নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর সঙ্গে ঘাতপ্রতিঘাতের পথে না গিয়ে সে শুধু মুখ দেখিয়ে চলে গিয়েছিল সে।