দুবলার চরের প্রায় দুই কোটি টাকার শুঁটকি মাছ নষ্ট
মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ, বাগেরহাট থেকে: শুক্রবার রাতে চর দুবলার কাছে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিয়োজিত ১৮টি যান্ত্রিক নৌকা ঝড়ে ডুবে গেছে।
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ জানান, গত নভেম্বরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুঁটকি প্রক্রিয়া করতে দুবলায় সামুদ্রিক মাছ ধরতে আসেন প্রায় ৩০ হাজার জেলে। তারা দুবলাসহ প্রায় আটটি চরে অস্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন। সেখানে থেকেই তারা সাগরে মাছ ধরেন। শুক্রবারও মাছ ধরতে তারা সাগরে যান। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় ১৮টি ফিসিং ট্রলার। এ সময় দুবলায় আটটি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা আলোরকোল এলাকায় আরও ১০টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়।
পরে অন্য ট্রলারের সাহায্যে ১৫৪ জেলে ফিরে আসতে পারলেও রামপালের দুর্গাপুর গ্রামের মো. ইদ্রিসের ছেলে মোঃ শাহিনুর ও ইসলামাবাদ গ্রামের মোঃ ছোট্টোর ছেলে মোঃমফিজুল নিখোঁজ রয়েছেন।
ফিসিংবোট এফবি সাগর-১,র মাঝি পিরোজপুরের বগা গ্রামের সাইদুল ইসলাম শনিবার সকালে মোবাইলফোনে জানান, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তারা দুবলারচর থেকে ৪০/৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গভীর সাগরে মাছ ধরছিলেন, এসময় আকস্মিক ঝড়ে উত্তাল সাগরে বগা এলাকার দুটি ফিসিংবোট ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ফিসিংবোট গুলো হচ্ছে এফবি মায়েরদোয়া এবং এফবি আনিস। ডুবে যাওয়া বোটের জেলেদের অন্য জেলেদের বোটে উদ্ধার করলেও মায়েরদোয়া বোটের বাবুর্চি বাদল নিখোঁজ রয়েছে বলে ঐ মাঝি সাইদুল জানিয়েছেন।
বনবিভাগের দুবলা ফরেস্ট স্টেশনের ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় জানান নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে দুবলার ১০০ ট্রলার এবং কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ অভিযানে নেমেছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দুবলার চরের প্রায় দুই কোটি টাকার শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়েছে বলেও জানান দুবলা ফরেসস্ট ক্যাম্পের ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়।