বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দুনিয়া। কাঁপছে আমাদের দেশের মানুষও। দেশজুড়ে চলছে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি। কিন্তু চালু রাখা হয়েছে চা বাগানসমূহ। মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাতা তুলছেন চা কন্যারা।
বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম আর পঞ্চগড়ের চা বাগানগুলো পুরোদমে চালু রয়েছে।
মঙ্গলবার ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম চা বাগান খোলা রাখার ব্যাপারটি নজরে আনেন প্রধানমন্ত্রীর।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চা বাগানগুলো খোলা রাখলে সমস্যা হবে না। চা শ্রমিকরা প্রাকৃতিক পরিবেশে কাজ করেন। তারা বিক্ষিপ্ত অবস্থায় চা পাতা সংগ্রহ করেন। তাদের মাস্কের ব্যবস্থা করে কাজে লাগানো যেতে পারে। তারা চা পাতা জমা দেয়ার সময় যেন দূরত্ব মেনে চলেন। সেদিকে খেয়াল রেখে চা বাগানগুলো চালু রাখা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডসূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ২৫ মার্চ বোর্ড থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনাসমূহের মধ্যে ছিল বহিরাগতদের বাগানে প্রবেশ সীমিত বা বন্ধ রাখা, গণজমায়েত বন্ধ রাখা, কর্মিদের সবার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা, সচেতনতা বৃদ্ধি, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া ইত্যাদি।
বাগান নির্বাহীরা জানান, নতুন মওসুম শুরু হয়েছে। প্ল্যাকিং চলছে। তা বন্ধ রাখা যায় না। কাজ বন্ধ রাখলে প্রচুর ক্ষতি, সবকিছু পিছিয়ে পড়ে। নির্দিষ্ট সময় পরপর পাতা তুলতে হয়।
চা বোর্ডের নির্দেশ প্রতিপালন করে বাগানে বাগানে কাজ চলছে। নিজস্ব এবং বহিরাগত শ্রমিক রয়েছে প্রায় সব বাগানের। নিজস্ব এবং বহিরাগত সবার জন্য রযেছে বাধ্যতামূলক হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, স্যানিজাইজার ব্যবহার। বাগানে চলাফেরা, পাতা তোলা, জমা দেয়া এবং অন্য সব কাজ করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। দেশের সব বাগানে চলছে এই ব্যবস্থা। বাগান মালিক এবং ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পঞ্চবটি টি এস্টেটের ব্যবস্থাপক অর্জুন কুমার নাথ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানালেন, স্থায়ী, ক্যাজুয়েল এবং বাইরের শ্রমিক মিলিয়ে রয়েছেন ৫ শতাধিক। বাগানের প্রতিটি সেকশনে তাদের জন্য সাবান, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব রেখে কাজ করছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে তাদেরকে প্রতিদিন সতর্ক করা হয় এবং সেসব প্রতিপালন করছেন কি না তা তদারকি করা হয় কঠোরভাবে।
জানান, কাজ শেষে পাতা জমা দেয়ার সময়ও কোন হেরফের হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বের ক্ষেত্রে।