বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: প্রস্তুতি শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভার। আগামী ২০ ডিসেম্বর সভা আহ্বান করা হয়েছে। এইদিন সকাল ১১ টায় শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটরিয়ামে সভাটি হবে।
বন্দর উপদেষ্টা কমিটির এটা ১৪তম সভা। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সভাটি হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ তম সভা গত মার্চে করার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে তা স্থগিত করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা হওয়ার কথা ৩ মাস পরপর। সেভাবে এ পর্যন্ত কখনও হয়নি। এবারে হচ্ছে দেড় বছর পর। ১৩ তম সভা হয়েছিল দ্বাদশতম সভার ২১ মাস পর।
বন্দর ব্যবহারকারিদের দাবি ছিল উপদেষ্টা কমিটির। নৌ পরিবহন মন্ত্রীকে প্রধান করে গঠিত হয় ২০১০ সালে। সে বছরের অক্টোবরে প্রথম সভা হয়। প্রতি ৩ মাস পর পর হওয়ার কথা সভা। সেই হিসেবে এ পর্যন্ত ৪১টি সভা হওয়ার কথা। হয়েছে ১৩টি। কোনো বছর একটি, কোনো বছর দু’টি সভা হয়েছে। ৪টি হয়নি কোনো বছরেই। আবার সারাবছরে একটি সভাও না হওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
২০১১ সালে ৩টি, ২০১২ সালে ২টি, ২০১৩ সালে ১টি, ২০১৪ সালে ২টি, ২০১৬ সালে ১টি, ২০১৭ সালে ১টি সভা হয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে কোনো সভা হয়নি। ২০১৯ সালে হয়েছে একটি।
৬০ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সভাপতি এবং বন্দর চেয়ারম্যান সদস্য সচিব। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত আসনের দুই মহিলা সংসদ সদস্য, সিটি মেয়র, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বন্দর ব্যবহারকারি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এই কমিটির সদস্য।
বন্দর উপদেষ্টা কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত সভা না হওয়ায় ইতিপূর্বের সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর ফলো-আপ হয় না, কাগজে-কলমে থেকে যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাই প্রয়োজন ৩ মাসের সভা ৩ মাসে হওয়ার। এই অভিমত শিপিং সংশ্লিষ্টদের।
ব্যবহারকারি ও বন্দরের সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় করে থাকে এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়ন করে উপদেষ্টা কমিটি। ব্যবহারকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের নানা সমস্যার কথা উত্থাপন করতে পারেন সভায়।
১৩ তম সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল ১৫টি। এগুলোর মধ্যে ছিল বে টার্মিনালকে সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব প্রেরণ, বে টার্মিনালে ডেলিভারি ইয়ার্ড স্থাপন, নিলামযোগ্য পণ্য ও কন্টেইনার নিলামের জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেয়া, সপ্তাহের প্রতিদিন ডেলিভারি অর্ডার পাওয়া নিশ্চিত করা, আইসিডি ও অফডক সিটি কর্পোরেশনের ২০ কিলোমিটারের বাইরে এক বছরের মধ্যে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া, কর্ণফুলির দু’তীরে নতুন কোন প্রতিষ্ঠানকে ইজারা না দেয়া, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ২০২১ সালের মধ্যে চালু করা, সীতাকুণ্ডে টার্মিনাল? পোর্ট স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম দ্রুততর করা, ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন করা, যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেয়া ইত্যাদি।