Home সারাদেশ ধরলায় মাছে মানুষে সাড়ে ৩ ঘণ্টার যুদ্ধ

ধরলায় মাছে মানুষে সাড়ে ৩ ঘণ্টার যুদ্ধ

কুড়িগ্রাম থেকে নয়ন দাস : মাছে আর মানুষে সাড়ে ৩ ঘণ্টা যুদ্ধের পর অবশেষে ধরা পড়লো ১৬ কেজির কাতল।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে এক যুবকের বড়শিতে সেটা ধরা পড়ে । প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা ব্যাপী লড়াইয়ের পর কাতল মাছটিকে নদী থেকে তীরে তোলা সম্ভব হয়। পরে মাছটিকে কেটে পারিবারিকভাবে ভাগ বাটোয়ারার করা হয় বলে জানা গেছে। 
স্থানীয়রা জানায়, ওই ইউনিয়নের সিতাইঝাড় ব্যাপারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মামুন বেপারি মামুন (৩৫) তার বড়শিতে মাছটিকে গেঁথে ফেলে। সে পাঁছগাছী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন বেপারীর দ্বিতীয় পূত্র।
মামুন (৩৫) জানান,  মঙ্গলবার (৩জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ধরলা নদীতে ৯টি বড়শি ফেলি। এসময় আমার প্রতিবেশী আতিকুল, সফিকুল ও সাজু সঙ্গে ছিল। বড়শি ফেলে সবাই গল্প-গুজব করছিলাম। এসময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি বড়শিতে বড় মাছ আটকা পড়েছে বলে বুঝতে পারি। পরে সেই মাছ তোলার চেষ্টা করলে, বড় আকারের মাছটি বড়শি কেটে যাওয়ার জন্য ছুটাছুটি করতে তাকে। প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা মাছে-মানুষে যুদ্ধের পর বুধবার (৪জুলাই) ভোর ৪টার দিকে বন্ধুদের সহযোগিতায় মাছটিকে নদী থেকে উপরে তুলতে সমর্থ হই। পরে দেখি সেটি কাতল মাছ। ওজন মেপে দেখা হয় প্রায় ১৬ কেজি। 
প্রতিবেশী আতিকুল জানায়, পেশায় কৃষি ব্যবসায়ী মামুন গ্রামের বাড়ীতেই থাকে। রাত জেগে বড়শিতে মাছ ধরা তার নেশা। আমরাও মাঝে মধ্যে বড়শি নিয়ে আসি। আজ তাকে আমরা সঙ্গ দিচ্ছিলাম। হঠাৎ এতবড় মাছ বড়শিতে আটকা পড়তে দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে পরি। 
পাঁছগাছী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন জানান,  আমার দ্বিতীয় ছেলে মামুন প্রায় ১৬ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ বড়শিতে আটক করে। পরে আমরা তিনভাই মিলে মাছটি কেটে ভাগবাটোয়ারা করে নেই।