Home Second Lead ‘ধর্ষণ-হত্যা’: দিহানের বিরুদ্ধে মামলা

‘ধর্ষণ-হত্যা’: দিহানের বিরুদ্ধে মামলা

অভিযুক্ত দিহান এবং হাসপাতালে যেতে ব্যবহৃত গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ডেকে নিয়ে কলাবাগানে ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ফারদিন ইফতেখার দিহান নামে এক তরুণকে আসামি করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামলাটি করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। 

কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান শুক্রবার গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু দিহানকে একমাত্র আসামি করে তার বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও তেমন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কারণ ধর্ষণের পর তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। 

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে তাকে অভিযুক্তের কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যেই স্বজনদের কাছে খবর আসে, মারা গেছেন ওই শিক্ষার্থী।

স্কুলছাত্রীর কাজিন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পেরেছি যে ওদের রিপোর্ট অনুযায়ী ওকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের পরে তার মৃত্যু হয়েছে। তার যে সহপাঠী ছিল তারাই ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষার্থীর।

নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, ছেলের পরিবারের যারা ছিল, তারা কেউই বাসায় ছিল না। ছেলেটি একা বাসায় ছিল। কলাবাগানের ডলফিন গলির ওই বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে আমরা প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছি। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি যে, আসল আসামিকে শনাক্ত করে কঠোর আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি।

তিনি আরও বলেন, রক্তমাখা কিছু জিনিস পাওয়া গেছে। এসব আমরা আলামত হিসেবে জব্দ করেছি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বের হয়েছিল। এ মামলার একমাত্র আসামি আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

অফিস থেকে বের হয়ে ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।