মুম্বই: বাড়ির বাইরে রাত কাটিয়ে ‘ধর্ষণে’র শিকার হয়েছে সে। বাড়িতে গিয়ে কীভাবে বলবে সে! কী-ই বা বলবে বাড়িতে! বাড়িতে পরিবার কীভাবে নেবে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে, পরিবারের প্রতিক্রিয়ার ভয়ে নিজেই নিজের গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেয় ছুরি-ব্লেড! মুম্বইয়ের ঘটনায় সামনে এল নাটকীয় মোড়।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই তরুণী ভয় পাচ্ছিল যে, সে ‘ধর্ষণে’র শিকার, একথা জানলে পর তার বাবা-মা তার উপর অত্যাচার করবে। পেশায় সবজি বিক্রেতা বাবার ভয়ে তাই সে নিজেই নিজের শরীরে ছুরি-ব্লেড ও পাথর ঢুকিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রেলস্টশন থেকে উদ্ধার করা হয় বছর কুড়ির ওই তরুণীকে। তার গোপনাঙ্গ থেকে প্লাস্টিকে জড়ানো পাথর ও সার্জিক্যাল ব্লেড পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ‘ধর্ষণে’র অভিযোগে এক অটোচালককে গ্রেফতার করে পুলিস।
কিন্তু তারপরই তদন্তে উঠে আসে আসল ঘটনা। জানা যায়, ওই তরুণী নিজেই তার গোপনাঙ্গে ছুরি-ব্লেড, পাথর ঢুকিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই তরুণী তার পরিবারের সঙ্গে মুম্বই মেট্রোপলিটনের নালাসোপারা এলাকায় থাকে। আরও জানা গিয়েছে, ওই অটোচালক ও তরুণী দুজনে মিলে বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অরনালা বিচে যায়। সেখানে একসঙ্গে রাত কাটানোর প্ল্যান ছিল। কিন্তু বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায়, কোনও হোটেলে ঘর পায়নি তারা।
হোটেলে ঘর না পাওয়ায় তারা দুজনে সারা রাত বিচেই কাটায়। সেখানেই ওই যুবতীকে অভিযুক্ত অটোচালক ধর্ষণ করে বলে মনে করছে পুলিস। এরপর সেখান থেকে ওই অটোচালক পালিয়ে যায়। ওই তরুণী তারপর কোনওভাবে নালাসোপোরা রেলস্টেশনে পৌঁছয়। কিন্তু সারা রাত বাইরে কাটিয়ে, ধর্ষণের শিকার হয়ে, কীভাবে বাড়ি ফিরবে? সেই ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল ওই তরুণী।
সে ধর্ষিতা হয়েছে একথা বুঝতে পেরে, তখনই ওই তরুণী নিজের শরীরে আরও ছুরি-ব্লেড ও পাথর ঢুকিয়ে দেয়। তারপর রক্তপাত হতে শুরু করলে, সে পুলিসে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে।’ধর্ষণের’ ঘটনায় বাড়িতে তাঁকে যাতে কেউ না বকে, না মারে, তাই ভয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।