- সোমবার শেয়ারবাজারে এক ধাক্কায় সম্পদ কমেছে ৭৩০০ কোটি ডলারের
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মুম্বই: এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানি। সবসময়ই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এবার আর্থিক ধাক্কা খেলেন খোদ অম্বানিও।
করোনা পরিস্থিতিতে তেলের চাহিদা কমায় ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের। লকডাউনের সময় মুকেশের ডিজিটাল ব্যবসায় মুনাফা হলেও তৈল শোধনাগার সংস্থাগুলি থেকে ওই পরিমাণ নিট মুনাফা হারিয়েছেন তিনি।
সোমবার দেশের রিলায়েন্সের শেয়ার ৬.৮ শতাংশ পর্যন্ত নিম্নমুখী হয়। ব্লুমবার্গ বিলিয়োনেয়ার ইনডেক্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন দুপুর ১২টা ২১ মিনিট নাগাদ শেয়ার বাজারের ওই প্রবণতায় এক ধাক্কায় মুকেশের সম্পত্তি কমে যায় ৭,৩০০ কোটি ডলার।
এমনকি এই পতনের আঁচ লেগেছে মুম্বইয়ের শেয়ার বাজারের সূচক বিএসি সেনসেক্স-এও। এদিন সূচক নেমে যায় ০.৭ শতাংশে। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত মার্চের পর থেকে এখনও পর্যন্ত তেলের বাজারে মুনাফার নিরিখে মুকেশের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিনটা ছিল সোমবার।
শুক্রবার রিলায়্যান্সের ত্রৈমাসিক মুনাফা ১৫ শতাংশ নীচে নেমে গিয়েছিল। যার ফলে সংস্থার ১৩০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছিল। মূলত, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জন্য যানবাহন কম চলাচল করেছে। তাই বিশ্ব জুড়েই তেলের চাহিদা তলানিতে। তার জেরে রিলায়্যান্সের তেলের ব্যবসায় ধাক্কা লেগেছে।
সংস্থার মুনাফা পড়েছে ২৪ শতাংশ। লকডাউন চলাকালীন অপরিশোধিত তেল পরিশোধনের মাধ্যমে তা জ্বালানীতে পরিণত করার ক্ষেত্রে ব্যারেল প্রতি গ্রস মুনাফা কমেছে ৫.৭ ডলার। গত বছরে তা ছিল প্রতি ব্যারেল ৯.৪ ডলার।
তবে পেট্রোকেম ব্যবসায় ধাক্কা লাগলেও লকডাউনের সময়ই ডিজিটাল সংস্থায় একের পর এক নয়া বিনিয়োগ টেনে এনেছে রিলায়্যান্স জিয়ো। বস্তুত,ওই সময় রিলায়্যান্সের টেলিকম শাখা রিলায়্যান্স জিয়োর নিট মুনাফা তিন গুণ বেড়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মুনাফা হয়েছে ২৮৪৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি, গ্রাহক পিছু আয়ও বেড়েছে জিয়োর।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর অর্থ বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুনাফা কমল ১৫ শতাংশ। ওই সময় আনলক পর্ব শুরু হলেও পুরোদমে সবকিছু স্বাভাবিক হয়নি। তার জেরে তেলের চাহিদা ধাক্কা খাওয়ায় মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সের সামগ্রিকভাবে ব্যবসার মুনাফায় প্রভাব পড়েছে।
গতবছর যেখানে মুনাফা ছিল ১১,২৬২ কোটি টাকা সেটা এ বছরে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫৬৭ কোটি টাকা। বড় ধাক্কা পেট্রোকেম ব্যবসায়, ২৩ শতাংশ আয় কমে দাঁড়িয়েছে ২৯,৬৬৫ কোটি টাকা।
তবে প্রথম ত্রৈমাসিকের চেয়ে এবারে অবস্থার উন্নতি ঘটেছে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বিশেষত টেলিকম শাখা রিলায়েন্স জিও খুব ভালো ফল করেছে, ওই ব্যবসায় মুনাফা তিন গুণ বেড়েছে। মাসুল বৃদ্ধি করায় গ্রাহক পিছু আয় বেড়েছে এই সংস্থার। গ্রাহক পিছু আয় প্রথম ত্রৈমাসিকে ১২৭.৪ টাকা থেকে বেড়ে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে হয়েছে ১৪৫ টাকা।