Home কৃষি নওগাঁর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব

নওগাঁর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব

ছবি সংগৃহীত

 কার্তিক মাসে কৃষকের ঘরে দেখা দিত প্রচন্ড অভাব। এখন আর সেই দিন নেই। ব্রিধান-৭৫ ও ব্রিধান-৯০ নামের ধানের নতুন জাত সৃষ্টি হওয়ায়  কার্তিক মাসেই ধান কাটতে পারছেন কৃষকরা। কৃষকের ঘরে ধান উঠায় অভাবের পরিবর্তে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠে মাঠে চলছে আগাম জাতের ব্রিধান-৭৫ ও ব্রিধান-৯০ ধান কাটার উৎসব। এবার ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

নওগাঁ:আমন  মওসুমে প্রচলিত জাতের ধান আসে অগ্রহায়নে। এরপরিবর্তে আগামজাতের আমন ব্রিধান-৭৫ ও ব্রিধান-৯০ চাষ হয়েছে। সেই ধান ইতিমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। ফলনও হয়েছে ভাল। এই ধান আসায় কার্তিকের অভাব দূর হয়েছে কৃষকদের।

কার্তিক মাসে কৃষকের ঘরে দেখা দিত প্রচন্ড অভাব। এখন আর সেই দিন নেই। ব্রিধান-৭৫ ও ব্রিধান-৯০ নামের ধানের নতুন জাত সৃষ্টি হওয়ায়  কার্তিক মাসেই ধান কাটতে পারছেন কৃষকরা। কৃষকের ঘরে ধান উঠায় অভাবের পরিবর্তে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠে মাঠে চলছে আগাম জাতের ব্রিধান-৭৫ ও ব্রিধান-৯০ ধান কাটার উৎসব। এবার ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

উপজেলার সুজাইল গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, এবার তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৯০ জাতের ধান চাষ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৪ মন হারে ধান উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে আগাম ধান তুলতে পারায় দামও ভাল পাচ্ছেন। প্রতি মন ব্রিধান-৯০ ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১১শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার ২৮ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে আগাম ১২৫০ হেক্টর জমিতে ব্রিধান-৭৫ ও ১৬২০ হেক্টর জমিতে ব্রিধান-৯০ জাতের ধান চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিধ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, কৃষি অফিসের সঠিক তদারকি ও কৃষকদের প্রচেষ্টায় এবার আগাম জাতের রোপা আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এসব জমিতে রোপা আমন ধান কাটার পরে সরিষা ও আলু চাষ করতে পারবে এবং সরিষা ও আলুর পরে আবারও বোর ধান চাষ করতে পারবে। একই জমিতে পর পর তিনটি ফসল ফলে কৃষক অধিক লাভবান হবেন।