Home করোনা আপডেট নতুন করোনাভাইরাস লন্ডনে, হোটেল-রেস্তোঁরা বন্ধ

নতুন করোনাভাইরাস লন্ডনে, হোটেল-রেস্তোঁরা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

গত সপ্তাহেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। এর মধ্যে জানা গেল, এক নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে সেই দেশে। অল্প সময়ের মধ্যে বহু লোক তাতে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যামক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। লন্ডনে এখন ‘টিয়ার থ্রি’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরের প্রতিটি পাব, রেস্তোরাঁ এবং হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে খাবার কিনে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধা নেই।

শহরবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয়েছে, বাড়ির লোকজন ছাড়া বাইরের কারও সঙ্গে মেলামেশা করবেন না। বাড়ির বাইরে পাবলিক প্লেসে একসঙ্গে সর্বাধিক ছ’জন জড়ো হতে পারেন। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, লন্ডনে দৈনিক সংক্রমণের হার হু হু করে বাড়ছে। প্রতিদিন বহু লোক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। নতুন এক ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে কড়াকড়ি করা জরুরি ছিল। তাঁর কথায়, “মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্যই কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। আমরা আগে দেখেছি, প্রথমেই ব্যবস্থা নিলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়। রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী লড়াইতে সুবিধা হয়।”

ম্যাট হ্যামক জানান, কোনও কোনও জায়গায় সাতদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা হচ্ছে দ্বিগুণ। ব্রিটেনের দক্ষিণ অঞ্চলে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ওই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়াতে পারে।

লন্ডনে এতদিন ‘টিয়ার টু’ সতর্কতা জারি করা ছিল। তার অর্থ জরুরি নয় এমন দোকান এবং পরিষেবা চালু ছিল। লন্ডনের যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি সেখানে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। শহরে টিয়ার থ্রি সতর্কতা জারির ফলে ক্রিসমাসের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। লন্ডনের উপকণ্ঠে এসেক্স, কেন্ট এবং হার্টফোর্ডশায়ারেও টিয়ার থ্রি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গত ৭ ডিসেম্বর থেকে ব্রিটেনে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। ফাইজারের টিকা কেনার উদ্যোগ-আয়োজন শুরু হয়েছিল সেই ২০ নভেম্বর থেকে। ব্রিটেনের মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রডোক্টস রেগুলেটরি কমিটি (এমএইচআরএ)-র সঙ্গে চুক্তি হয় ফাইজার-বায়োএনটেকের। সূত্রের খবর, ফাইজারের টিকার ৪ কোটি ডোজ কিনেছে ব্রিটেন সরকার। ফাইজারের টিকা যেহেতু খুব ঠান্ডায় সংরক্ষণ করতে হয় তাই সেই মতো কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় টিকা তাজা রাখার প্রস্তুতি করে ফেলেছে ব্রিটেন।

অন্যদিকে, আমেরিকার আরও এক ফার্মা জায়ান্ট মোডার্নার টিকাও কিনেছে ব্রিটেন। মোডার্না ইতিমধ্যেই দাবি করেছে তাদের ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। কমবয়সী শুধু নয়, বয়স্কদের শরীরেও টিকার ডোজের প্রভাব ভাল। এরপরেই মোডার্নার টিকা আগেভাগে বুক করার রাখার ধুম পড়ে গেছে বিশ্বজুড়েই। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ লাখ ডোজের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। আরও দু’লাখ ডোজ কেনা হবে। সাতটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি থেকে ৩৫ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়ে রেখেছে ব্রিটেন সরকার।

-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক