বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: কর্ণফুলীসহ দেশের সকল নদনদী দখল ও কলকারখানার শিল্প বর্জ্যের দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ অবস্থায় সাম্পান শোভাযাত্রার মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকেই নদী বাঁচানোর ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
দখল,দূষণ প্রতিরোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির প্রথম পর্ব অভয়মিত্র ঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সাম্পান শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ।
১০০টি সাম্পান অংশ নেয়।
শোভাযাত্রা শুরু আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দখল, দূষণের কবলে পড়ে কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গাসহ নদীগুলোর বিপন্ন অবস্থা। জনসাধারণের অসচেতন ও বেপরোয়া ব্যবহারে দিন দিন নদীগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। দখল ও ভরাটের করাল গ্রাসে অনেক নদী মরে গেছে। নদী বাঁচলে জীবন বাঁচবে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই নদীকে বাঁচাতে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে চট্টগ্রাম বন্দর। তাদের বার্ষিক আয় ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তাদের তহবিল থেকে একটি ন্যূনতম অংশ যদি কর্ণফুলী রক্ষায় ও চট্টগ্রাম উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয় তাহলে কর্ণফুলী বাঁচবে এবং চট্টগ্রাম নগরীর চেহারা পাল্টে যাবে।
সাবেক মেয়র বলেন, কর্ণফুলী শুধু একটি নদী নয় জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ প্রবাহ। কর্ণফুলী বাঁচাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা। কর্ণফুলী নদীতে যাতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে না পারে এবং নদী ভরাট করে দখল না হয় এবং আমরা কেউ যেন সামান্য পরিমাণও কর্ণফুলী নদীকে দূষিত না করি। তাহলেই কর্ণফুলী নদী রক্ষা উদ্যোগ অনেকাংশে সফল হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী না বাঁচলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে না। চট্টগ্রাম বন্দর না বাঁচলে, বাংলাদেশের বেঁচে থাকার কোন অর্থ হয় না। তাই কর্ণফুলীকে বাঁচানো শুধু চট্টগ্রামবাসী নয়, রাষ্ট্র-সরকার ও দেশের ১৮ কোটি মানুষের একটি পবিত্র নৈতিক দায়িত্ব। কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গা নদীসহ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদনদীগুলোকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার শতভাগ বাস্তবায়ন চাই। নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সফর আলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, আবু তাহের, কর্ণফুলী গবেষক অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, মাঝি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, জাফর আহমদ প্রমুখ।