Home আন্তর্জাতিক যেদেশে অতিথির কাছে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাতে

যেদেশে অতিথির কাছে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাতে

প্রতীকী ছবি হিম্বা সম্প্রদায়

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

বাড়িতে অতিথিদের স্বাগত জানানো এবং আপ্যায়ন করা আমাদের সংস্কৃতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা আনন্দের সঙ্গে অতিথিদের জন্য একটি দুর্দান্ত ডিনার, ঘুমের জন্য বাড়িতে একটি সুন্দর ঘর-সহ সবকিছু প্রস্তুত করি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া উপজাতিদের একটি সম্প্রদায় আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে তাঁদের স্ত্রীদের অতিথিদের কাছে তুলে দেয়! স্ত্রীকে অতিথির বেডরুমে পাঠানো হয় এবং স্বামী অন্য ঘরে থাকেন। ওওয়াহিম্বা এবং ওওয়াজিম্বা উপজাতীয় সম্প্রদায় যারা হিম্বা সংস্কৃতি অনুসরণ করে তাঁরা এখনও এই আচার পালন করেন।

এই উপজাতিতে, মহিলাদের মতামতের কোন মূল্য নেই। ছোটখাটো বিষয়েও নারীদের কথা শোনার অভ্যাস তাঁদের নেই, যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়েও তাই। নারীরা এখনও গৃহস্থালির কাজে সীমাবদ্ধ। তারা গরু দেখাশোনা করা এবং বাচ্চাদের দেখাশোনার মতো কাজেই সীমাবদ্ধ। পুরুষরা দিনের বেলায় শিকার করতে যায়।

একটি আচার কী?

এই উপজাতির মানুষদের বাড়িতে যে কোনও অতিথি এলে তাঁকে অত্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু স্ত্রীকে সেই ঘরে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তো সভ্য সমাজ কখনই মেনে নেবে না৷ তাই ইদানিং সেই প্রথা কিছুটা পাল্টেছে৷ তবে এখনও অনেক বাড়ির কর্তা অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য তার স্ত্রীকে অতিথি কক্ষে পাঠান।

তিনি অন্য ঘরে ঘুমান। ঘরে একটি মাত্র ঘর থাকলে অতিথি ও নিজের স্ত্রীকে ঘর ছেড়ে বাড়ির বাইরে রাত কাটান।

এই নিয়মের কারণ কি?

হিম্বা ঐতিহ্যে স্ত্রীকে অতিথির হাতে তুলে দেওয়ার প্রথারও কিছু কারণ দেওয়া হয়েছে। বউকে গেস্ট রুমে পাঠালে হিংসা কমে যাবে বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন। এছাড়াও, এই আচারটি সকলের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করতেও করা হয়। এই উপজাতিদের মধ্যে এখনও বহুবিবাহ প্রচলিত আছে। হিম্বা মেয়েরা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর পর, মেয়েরা তাঁদের বাবার দ্বারা নির্বাচিত একজন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে হয়।

এই উপজাতি নামিবিয়ার কুনেন অঞ্চলে বাস করে। পুরুষদের কৃষি ও পশুপালনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গরু তাঁদের কাছে মুদ্রা! একটি পরিবারের সম্পদ প্রতিটি পরিবারের মালিক গবাদি পশুর সংখ্যা দ্বারা নির্ধারিত হয়।